শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: অবশেষে জয় হল ভালবাসার। প্রেমিকার বরমাল্য পেলেন জলপাইগুড়ির অনন্ত। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিলেন যুবক। একটানা ধরনায় প্রেমিক অসুস্থ হয়ে পরতেই গলল বরফ। অবশেষে প্রেমিক যুগল পা রাখলেন দাম্পত্য জীবনে।
অনন্ত-লিপিকার গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায়। চেষ্টা থাকলে যে অসাধ্য সাধনও সম্ভব, তা প্রমাণ করলেন অনন্ত। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বাসিন্দা লিপিকা বর্মনের সঙ্গে আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনন্তর। এত দিনের সম্পর্কের পরেও প্রেমিকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে রাজি হননি লিপিকা। প্রেমিকাকে ছেড়ে থাকা মোটেও সহজ ছিল না অনন্তের কাছে। কী উপায়! অগত্যা রবিবার থেকে চাকলাপাড়ায় লিপিকার বাড়ির সামনে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বসেন অনন্ত। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমার ৮ বছর ফিরিয়ে দাও।’ আর অন্য প্ল্যাকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার ভালবাসার দাম দাও।’
[আরও পড়ুন: গাছ বাঁচাতে চালু হল ‘ট্রি অ্যাম্বুল্যান্স’ পরিষেবা, খুশি পরিবেশপ্রেমীরা]
দ্রুতই এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অনন্তকে দেখতে ভিড় জমান অনেকেই। সেখানেই রাত কাটে অনন্তের। ঘটনায় মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেননি লিপিকা বর্মনের মা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। কিন্তু নাহ, কোনও কিছুতেই হার মানতে রাজি নন অনন্ত। তাই নিজের দাবিতে অনড় থেকে প্রেমিকাকে ফিরে পেতে সোমবার সারাদিন একই জায়গায় বসে থাকেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ খাওয়াদাওয়া না করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনন্ত। আর প্রেমিক অসুস্থ হয়ে পড়তেই গলতে শুরু করে বরফ।
অবশেষে অনন্তকে বিয়ে করতে রাজি হন লিপিকা। বাড়িতেই প্রেমিকের গলায় মালা পরান লিপিকা। সকলকে সাক্ষী রেখে হয় সিঁদুরদান। টানা দু’দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষ যবনিকা পতন। নতুন জীবনে প্রবেশ করল অনন্ত-লিপিকা। তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলেই। কিন্তু কেন এমন বেঁকে বসেছিলেন লিপিকা, তা কিন্তু এখনও অজানা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.