ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: টিকা নিয়ে নিত্য অশান্তি। ধস্তাধস্তি, মারামারি। এমনকি লাইন থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিক্ষোভও চলছে বিভিন্ন জায়গায়। গত দু’মাস ধরে এটাই চিত্র রাজ্যের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে। কিন্তু তারমধ্যেই স্বস্তির খবর ছড়িয়েছে সোমবার দুপুরে। রাজ্যে ভ্যাকসিনপ্রাপ্ত নাগরিকের সংখ্যা তিন কোটি ছুঁয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনকে এই তথ্যই জানিয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, এদিন বিকেল পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৪৫ জন টিকা নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ কোটি ১২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৮২ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৬৩ জন। রাজ্যে মোট ২ হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে টিকা কর্মসূচী চলছে। এরমধ্যে সরকারি কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৮টি এবং বেসরকারি ২৪৬টি। এদিন দুপুর পর্যন্ত ২ লক্ষ ২০ হাজার ৮০১ জন টিকা পেয়েছেন। টিকা কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “একটা ভায়াল থেকে গড়ে ১০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরা অপচয় বন্ধ করে ১১ জনকে টিকা দেন। এই সূচক মাইনাস ফাইভ।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে বাংলার জন্য আরও বেশি করোনা টিকা চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বেশি পরিমাণে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, রবিবার স্বাস্থদপ্তরের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ জন উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের প্রথম স্থানে ওই জেলা, তবে সামান্য হলেও বেড়েছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে ফের দার্জিলিং (Darjeeling)। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৬৪ জন। তৃতীয় স্থানে কলকাতা (Kolkata)। একদিনে সেখানকার ৬০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। চতুর্থ স্থানে নদিয়া। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৪৯ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় কম বেশি রাজ্যের বাকি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একদিনে পজিটিভিটি রেট ১.৬১ শতাংশ। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫,২৮,৭২০।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.