Advertisement
Advertisement
Fever

করোনা-লক্ষণ নিয়ে রাজ্যে অন‌্য জ্বরের হানা, নয়া দুই ভাইরাসের সংক্রমণে নাজেহাল শিশুরা

ভাইরাসটিকে নির্মূল করার কোনও ওষুধ নেই।

Fever with Corona symptom in West Bengal creates more confusion
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 13, 2020 11:22 am
  • Updated:July 13, 2020 1:53 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: করোনা-আবহে করোনার মতো উপসর্গ নিয়ে বাংলায় হাজির আরও দুই ভাইরাস(Virus)। কক্সাকিভাইরাস এবং এন্টেরোভাইরাস। পাঁচ বছর বা তার কম বয়সি শিশুদের উপরই মূলত হামলা চালাচ্ছে এই দুই জীবাণু। উপহার দিচ্ছে অদ্ভুত এক রোগ, ‘হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’। মুখ-হাত-পায়ের তলা, হাঁটু, নিতম্বে লাল গোটা উঠছে। কয়েকদিন পর তা ফোস্কায় পরিণত হয়ে ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে। রোগটি নতুন নয়। আগেও ডালপালা মেলেছে বাংলায়। বহু শিশু সংক্রমিতও হয়েছে। তবে, করোনা আবহে এই ভাইরাসঘটিত রোগ নতুন করে রক্তচাপ বাড়িয়েছে। জ্বর-গলাব্যথার মতো উপসর্গ থাকায় করোনা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। ধন্দে ফেলছে ডাক্তারবাবুদেরও।

ক’দিন আগের ঘটনা। মেচেদার এক দম্পতি তাঁদের সাড়ে চার বছরের মেয়েকে নিয়ে হাজির কোলাঘাটের এক চিকিৎসকের চেম্বারে। শিশুটির গায়ে জ্বর, গলায় ব্যথা, খেতে পারছে না। মুখ দিয়ে অঝোরে লালা ঝরছে। জ্বর-গলা ব্যথা দেখে শিশুটির কোভিড হয়েছে বলে ধরেই নিয়েছিল তার পরিবার। ভুল ভাঙান ডাক্তার। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিশান্তদেব ঘটক জানিয়েছেন, এই রোগ মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যেই হয়। তবে বড়দের হবে না, বলা যায় না। গত কয়েক বছর ধরেই এই রোগ প্রাক বর্ষা ও বর্ষার মরশুমে দাপট দেখাচ্ছে। ডাক্তার পিছু প্রায় একশো করে রোগী। এমনটাই পর্যবেক্ষণ নিশান্তদেবের। ডাক্তারবাবু জানালেন, কোভিডের মতো এই রোগও হাঁচি-কাশি ও লালার মাধ্যমে ছড়ায়। অত্যন্ত সংক্রামক। মেচেদার শিশুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এক আত্মীয়ের বাচ্চার থেকে রোগটি সংক্রমিত হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘মমতার জমানায় বিজেপি নেতাদের খুন করা থামছে না’, বিধায়কের রহস্যমৃত্যুতে তোপ কৈলাসের]

যদিও রোগটি প্রাণঘাতী নয়। ৭-১০ দিন পর নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে সমস্যা অন্যত্র। মুখ, জিভ, গলার ভিতরেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে শিশুর জল খেতেও কষ্ট হয়। ‘ডিহাইড্রেশন’-এর শঙ্কা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভরতি করে স্যালাইন দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তাছাড়া এনসেফেলাইটিস, পালমোনারি ইডিমা ও কার্ডাইটিসের মতো সমস্যাও কালেভদ্রে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডাক্তারবাবুরা।

চিকিৎসা প্রোটোকল?
মূলত উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা। অর্থাৎ জ্বর হলে প্যারাসিটামল। ‘ক্লাস্টার’ সংক্রমণের জায়গায় অ্যান্টিহিস্টামিন। ফোস্কা ফেটে ‘সেকেন্ডারি ইনফেকশন’ হলে অ্যান্টিবায়োটিক মলম। মোটের উপর এটাই প্রোটোকল। কিন্তু ভাইরাসটিকে নির্মূল করার কোনও ওষুধ নেই। প্রতিষেধকও নেই। এটাই চিন্তার।

[আরও পড়ুন : বন্ধ চায়ের দোকান থেকে উদ্ধার হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের দেহ, খুন বলে দাবি পরিবারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement