সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেল জয়দবের ফেরিঘাট। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ। বীরভূমের ইলামবাজারে এই ফেরিঘাট ভেসে যাওয়ায় বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান, এই দুই জেলার মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এদিকে মালবাজারে লীস নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তিতে সেখানকার মানুষও। জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে যাতায়াতের একমাত্র সেতু এবং রাস্তা।
বীরভূমের ইলামবাজারে অজয় নদীতে রয়েছে জয়দেবের ফেরিঘাট। প্রতিদিন এখান দিয়ে দুই জেলার অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। এই সেতুর ফলে দুর্গাপুর-আসানসোলের সঙ্গে জেলার দূরত্ব প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার কমে যায়। তাই শিল্পাঞ্চল-সহ অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য এই ফেরিঘাটই সম্বল এলাকাবাসীর। গতকাল হিংলো বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় ভেসে যায় অস্থায়ী এই ফেরিঘাট। বর্ধমানের সঙ্গে বীরভূমের যোগাযোগ এখন দুরুহ ব্যাপার। ফেরিঘাট ভেসে যাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। কারণ ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখানে স্থায়ী সেতু তৈরির আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বছর গড়িয়ে গেলেও কাজ শুরু হয়নি। ফলে প্রতি বর্ষায় ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। এনিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।
[ আরও পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে বাগান শ্রমিকের প্রাণহানি, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি বাড়ি ]
এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেল মালবাজারের লীস নদীর বাঁধ। আর সেই ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকছে মালবাজার মহকুমার সাউগাও বস্তিতে। ইতিমধ্যে জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে যাতাযাতের একমাত্র সেতু এবং রাস্তা। জলের গতিতে ভেঙে গিয়েছে পানীয় জলের কয়েকটি কুঁয়ো ও কৃষিজমি। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, গত বছরেও ভেঙেছিল এই বাঁধটি৷ কিন্তু বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নিম্নমানের কাজ করায় আবার ভেঙে গিয়েছে সেই বাঁধ। আর এবার প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের ভিতর দিয়ে জল যাচ্ছে। যেকোনও মুহূর্তে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এই জল। এই আতঙ্কে সারা রাত জেগেই কাটিয়েছেন গ্রামের মানুষ। এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “এ ব্যাপারে এর আগে বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন উদ্যোগ নেননি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা।”
[ আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ফের ধস উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়, সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.