পুলিশের সহায়তায় পরীক্ষায় বসল মুর্শিদাবাদের তাহামীরা খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বাবা চান না, মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিক। পড়াশোনা আটকাতে মারধর, ঘরে আটকে রাখা, কিছুই বাকি রাখেননি। কিন্তু তবু আটকাতে পারল না মেয়ের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেওয়া। সটান থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সহায়তায় পরীক্ষায় বসল মুর্শিদাবাদের তাহামীরা খাতুন।
জানা গিয়েছে, রফিকুল ইসলাম ও পপি বিবির চার সন্তান। বাড়ি ফরাক্কার ইমামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুরে লাওয়ার হাট। তাহামীরারা তিনবোন, এক ভাই। অভিযোগ, পেশায় রাজমিস্ত্রি রফিকুলের বড় মেয়ে তাহামীরা। অভিযোগ, রফিকুল চান না তাঁর মেয়ে পড়াশোনা করুক। প্রতিদিন তাকে মারধর করত। শনিবার পরীক্ষা দিতে না যাওয়ার জন্যও মারধর করা হয়। তবু দমানো যায়নি তাকে।
পরীক্ষায় বসার দাবি নিয়ে সটান ফরাক্কা থানায় হাজির ইমামনগর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থী তাহামীরা খাতুন। আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী পরীক্ষার্থীকে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা সেন্টারে পরীক্ষায় বসান। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.