Advertisement
Advertisement

Breaking News

Father of lottery winners accused Anubrata Mandal of taking away lottery ticket

‘জোর করে টিকিট কেড়ে নেওয়া হয়’, অনুব্রতর লটারি রহস্য নিয়ে বিস্ফোরক নূর আলির বাবা

নূর আলির জেতা লটারির টিকিটে অনুব্রত কোটিপতি হয়েছেন অনুমান সিবিআইয়ের।

Father of lottery winners accused Anubrata Mandal of taking away lottery ticket । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 24, 2022 12:30 pm
  • Updated:November 24, 2022 12:40 pm  

নন্দন দত্ত, বোলপুর: আরও ঘনীভূত অনুব্রত মণ্ডলের লটারি রহস্য। বিস্ফোরক দাবি লটারি বিজেতা নূর আলির বাবা কটাই শেখের। তাঁর দাবি, জোর করে লটারির টিকিট কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এমনকী ভয় দেখিয়ে লটারি বিজেতাকে প্রায় সাতদিন গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। ওই ব্যক্তি আদৌ সত্যি কথা বলছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রথম টুইটের মাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন ডিয়ার লটারি আদতে কালো টাকা সাদা করার পন্থামাত্র। সেই দাবি নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। তারই মাঝে সিবিআইয়ের (CBI) নজরে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের লটারি লাভ। লটারির টিকিট কি নিজে কেটেছিলেন নাকি স্রেফ ক্ষমতাবলে অন্যের টিকিট নিয়ে কোটিপতি অনুব্রত? কারও থেকে লটারির টিকিট নেওয়ার পরিবর্তে নগদ টাকা নাকি সম্পত্তি দিয়েছিলেন? এরকম নানা তথ্যের খোঁজে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলেজের মাঠে ফিল্মি কায়দায় প্রেম নিবেদন! ভিডিও ভাইরাল হতেই নোটিস ছাত্রছাত্রীদের]

সে সব তথ্যের খোঁজে বুধবার রাতে রতনপল্লিতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার ভোর হতে না হতেই বড় শিমুলিয়ার বাসিন্দা নূর আলির বাড়িতে যায় সিবিআই। শোনা যায়, নূর আলির থেকে লটারির টিকিট নিয়েই কোটিপতি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাঁর বাড়ি থেকে লটারির টিকিট-সহ নানা নথিপত্র সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ নূর আলি ও তার দাদাকে রতনপল্লির অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হয়। সঙ্গে ব্যাংকের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে যেতে বলেন আধিকারিকরা। নির্দিষ্ট সময়মতো সিবিআই আধিকারিকদের কাছে যান তারা।

দুই ছেলের সিবিআই হাজিরার মাঝে বিস্ফোরক লটারি বিজেতার বাবা কটাই শেখ। তাঁর দাবি, ছেলে ১ কোটি টাকার লটারি জেতে। ওই লটারি দিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই নাকি চাপ দেন। প্রথমে বলা হয়েছিল লটারির টিকিটের বিনিময়ে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত কিছুই দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র লটারির টিকিট নিয়ে নেওয়া হয়। আতঙ্কে প্রায় সাতদিন তাঁরা গ্রামছাড়া ছিলেন বলেও দাবি কটাই শেখের। ওই ব্যক্তির দাবি আদৌ সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআই জেরার মুখে কটাই শেখের দুই ছেলে নূর ও মিঠুন কী উত্তর দেন, তার উপরেই নির্ভর করছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ করতে গেলেই আদালতে স্থগিতাদেশ, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement