ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পাড়ারই ছেলের সঙ্গে মেয়ে সম্পর্কে (Love Affair) জড়িয়েছে। তা মেনে নিতে পারেননি প্রেমিকার বাবা। আর তার জন্য নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তিনি। মেয়েকে দিয়ে ফোন করিয়ে প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগ, মারধরে গুরুতর জখম হয়ে ছেলেটি জলের জন্য কাতরাতে থাকলে জল না দিয়ে তাঁর মুখে প্রেমিকার বাবা প্রস্রাব করে দেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুর দানার ইলসরা গ্রামে। রবিবার ভোরে পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিকার বাবা সোনা মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। বর্ধমান আদালতে পেশ করলে বিচারক ধৃতকে তিনদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College) চিকিৎসাধীন সোনার মেয়ের প্রেমিক সোমনাথ হাজরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একই পাড়ায় বাড়ি সোনা ও সোমনাথদের। সোনার মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তা মেনে নিতে পারেনি সোনা। পরিকল্পনা করে শনিবার গভীর রাতে সোনা তাঁর মেয়েকে দিয়ে সোমনাথ ফোন করায়। সোমনাথকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। কোনও জটিলতা না ভেবে সোমনাথ প্রেমিকার বাড়িতে আসে। এরপরই সোনা ও তাঁর স্ত্রী বাঁশ, রড দিয়ে সোমনাথকে আক্রমণ করে। তাঁকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর (Lynching) করা হয়। সেই সময় জল চেয়ে কাতর আরজি জানাতে থাকেন সোমনাথ। অভিযোগ, জল না দিয়ে সোনা তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয়। সোমনাথের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা সোমনাথের বাবা অতনু হাজরাকে খবর দেন।
অতনুবাবু প্রতিবেশীদের নিয়ে সোনার বাড়িতে যান। ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে সোমনাথকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওইদিন রাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন অতনুবাবু। তার ভিত্তিতে পুলিশ খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করেছে। এদিন ভোরে সোনাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মারধরে ব্যবহৃত বাঁশ ও রড পুলিশ উদ্ধার করেছে। বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.