ছবি: প্রতীকী।
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে নিজের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। নাবালিকা মুখ খুললে অভিযুক্ত প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দিত বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুরের পিংলা থানার ১০ নম্বর জলচক অঞ্চলের তিলদাগঞ্জ এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম কার্তিক মিশ্র। বয়স ৩৪ বছর।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পারিবারিক বিবাদের জেরে দীর্ঘদিন স্বামীর ও মেয়েকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন নাবালিকার মা। অভিযোগ, সেই সুযোগে নিজের ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে তার বাবা। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার মতো ভয় দেখাত বলেও অভিযোগ ওই নাবালিকার।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ,মেয়েটি বাড়ির কারওর সঙ্গে কথা বলছিল না। অবসাদে ভুগছিল। খাওয়া-দাওয়ায় কার্যত বন্ধ করে দিয়েছিল। হঠাৎই স্কুল যাওয়ার সময় থানা যাওয়ার কথা বলে। তারপরে মাকে সবকথা খুলে বলে। নির্যাতিতার কথায়, “ছোটবেলায় মা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে বাবা আমার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করত। আমি বাধা দিতে গেলে মদ্যপান করে বেধড়ক মারধর করত। এমনকী, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। তারপরে বিষয়টি মাকে জানানোর পর থানায় বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।”
এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার পিংলা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মেদিনীপুর জেলা আদালতে পেশ করে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল, নিজের ঘরেও কি আদৌ সুরক্ষিত মেয়েরা? বাবা-কাকা-দাদাদের কাছে কি নিরাপদ শিশুরা? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার এক নৃশংস ঘটনা ফের সেই প্রশ্ন তুলে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.