সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পথেই ডাকাতির পর বাবা ও ছেলেকে খুন করল আততায়ীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা ও ছেলেকে খুন করা হয়। তাঁদের সঙ্গে থাকা মোটরবাইক এবং মোবাইল দু’টির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার (Purulia) মফস্বল থানার কানালি গ্রামের অদূরে। জোড়া খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এদিকে, খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার আইমুণ্ডি মোড়ে ধানবাদ-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
৮০ বছর বয়সি মদন পাণ্ডের পুরুলিয়ার চাষ মোড়ে পেট্রল পাম্পের ম্যানেজার। তাঁর বছর তিরিশের ছেলে কানাই পেট্রল পাম্পের ওয়ে ব্রিজ সেকশনের কর্মী। প্রতিদিন সন্ধে ৭টায় বাড়ি ফেরেন তাঁরা। তবে রাত ৮টা বেজে গেলেও শনিবার বাড়ি ফেরেননি দু’জনে। দুশ্চিন্তা হতে থাকে পরিজনদের। মোবাইলে ফোন করা হয় দু’জনকে। তবে তাঁদের মোবাইল সুইচড অফ ছিল। পরিবারের লোকজন সেই সময় হেঁটে হেঁটে ওই পেট্রল পাম্পের দিকে আসছিলেন।
সেই সময় পথেই দীপেন মাহাতো নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। তিনি জানান, কানালি গ্রামের অদূরে ফাঁকা মাঠের কাছে কেউ তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। সেকথা গ্রামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও জানান তিনি। সেকথা চাউর হওয়ার পর কে বা কারা আঘাত করল, তা দেখতে ওই এলাকায় পৌঁছন প্রায় সকলে। সেখানেই দেখা যায় বাবা ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁদের মোটরবাইক এবং মোবাইলটিও উধাও।
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগনের নির্দেশে জেলাজুড়ে তড়িঘড়ি নাকা চেকিং শুরু হয়। রাতেই ছেলে ও বাবার দেহ দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে যান জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। ওই দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। কে বাবা কারা তাঁদের খুন করল, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ব্যক্তিগত কোনও কারণ নাকি ডাকাতির উদ্দেশে খুন হতে হল দু’জনকে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশে খুন করা হয়েছে তাঁদের। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.