অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: খড়গপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি হোটেলে ঢুকে পড়ল লরি। বেপরোয়া লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেলেন ১৮ জন। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতেরা সকলেই ভরতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার সাদাতপুরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামগামী অন্য একটি লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঘাতক লরিটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। লরিটি আটক করেছে পুলিশ। চালকের খোঁজ নেই।
[উত্তরবঙ্গে ফের কালবৈশাখী, সপ্তাহান্তে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গেও]
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের শহর থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দুরত্ব অনেকটাই। জাতীয় সড়ক ও লাগোয়া এলাকা খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত। কিন্তু, সেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেই বেপরোয়া লরির দৌরাত্ম্যে প্রাণ গেল কমপক্ষে ৫ জনের। গুরুতর আহত ১৩। সকলেই ভরতি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে খড়গপুরের সাদাতপুরে। মৃত ও আহতরা স্থানীয় একটি কারখানা শ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানা লাগোয়া একটি অস্থায়ী হোটেলে টিফিন করছিলেন শ্রমিকরা। আচমকাই একটি ছয় চাকার লরি হুড়মুড়িয়ে হোটেলে ভিতর ঢুকে পড়ে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যান ১৮ জন শ্রমিক। সরে যাওয়ার সময়টুকুও পাননি তাঁরা। তবে বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন ওই হোটেলের মালিক। তাঁর সামান্য আঘাত লেগেছে। সকলকেই উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানের একজনের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও হাসপাতালে। সেখানে মারা যান আরও ৪ জন। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক লরিটি আটক করেছে পুলিশ। তবে চালকের খোঁজ নেই।
[ছন্দে ফিরছে আসানসোল-রানিগঞ্জ, চালু ইন্টারনেট পরিষেবা]
কিন্তু, কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাদাতপুরের কাছে ঝাড়গ্রামগামী অন্য একটি লরিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন ঘাতক লরির চালক। কিন্তু, নিয়্ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তিনি। আর তাতেই ঘটল বিপর্যয়।
ছবি: সৈকত পাঁজা
[বালিতে অস্বাভাবিক মৃত্যু বৃদ্ধার, পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.