Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরের শপিং মলের সঙ্গে পাল্লা দেবে কৃষক বাজার

বাজারের মধ্যেই থাকবে রাতে থাকার জন্য আলাদা ঘর, গার্ড রুম, শৌচাগার৷ থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা৷ প্রতি বাজারে সাধারণত ২২টি ঘর বা স্টল থাকছে৷

Farmers market will now compete with city shopping malls

ছবি - প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 23, 2016 10:57 am
  • Updated:June 23, 2016 10:57 am  

সন্দীপ চক্রবর্তী: রাজ্যের কৃষক বাজার গুলি হয়ে উঠবে গ্রামের শপিং মল৷ কৃষকদের সবরকম সুবিধা দিতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এমন পরিকল্পনার মূল কারণ, একই ছাদের তলায় সবরকম সামগ্রী মিলবে৷ ভোর থেকে যে সব কৃষক মাঠ থেকে কোনও শস্য বিক্রি করতে আসবেন বা যাঁরা সেগুলি কিনবেন, দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে৷

কৃষক বাজারে যেমন খাদ্যশস্য বিক্রির জায়গা থাকবে, তেমনই শাড়ি, চাদর, জুতো কেনা যাবে৷ থাকবে স্টেশনারি দোকান৷ একই কমপ্লেক্সে মিলবে রেস্তোরাঁ, হোটেল, চায়ের দোকান ও এটিএমও৷ ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের শাখাও যাতে খোলা যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা চালাবে সরকার৷ ওই বাজারের মধ্যেই থাকবে রাতে থাকার জন্য আলাদা ঘর, গার্ড রুম, শৌচাগার৷ থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা৷ প্রতি বাজারে সাধারণত ২২টি ঘর বা স্টল থাকছে৷ এছাড়াও গুদাম তো থাকছেই৷ দাম নিয়ন্ত্রণে সেই বাজারে রেগুলেটিং মার্কেট কমিটির প্রতিনিধিও থাকবেন৷ ‘সুফল বাংলা’-র সামগ্রী বিক্রিতে আলাদা জায়গা নেওয়ারও ভাবনা রয়েছে৷ অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে শহরের বিগবাজার বা শপিং মলে যা মেলে, সবটাই মিলবে কৃষক বাজারে৷

Advertisement

রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে কৃষক বাজার বা কিষান মান্ডি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বহু বাজার তৈরি হয়েছে৷ তবে সবগুলি এখনও চালু করা যায়নি৷ এবার সেই থেমে থাকা বাজারগুলি পাকাপাকিভাবে চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷

এমন বাজার তৈরির পিছনে মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট বন্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷ এতে কৃষকরা সরাসরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন৷ কত দামে কোন খাদ্যশস্য বিক্রি হচ্ছে, তাও নজরে রাখবে সরকার৷ আপাতত  ৩৪১টি ব্লকের মধ্যে ১৮৬টি কিষান মান্ডি বা কৃষক বাজারের কাজ প্রায় শেষ৷ এর মধ্যে ১৬১টি তৈরি হয়েই গিয়েছে৷ জেলাভিত্তিক তালিকার মধ্যে বর্ধমানের ২১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৫, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৩, নদিয়ার ১৩টি বাজার রয়েছে৷

মোট ১৬১টি কৃষক বাজারের মধ্যে ১৪৬টি, আরএমসি বা রেগুলেটিং মার্কেট কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর৷ মোটামুটিভাবে প্রতি বাজার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা৷ আগামী অর্থবাজেটে বাকি বাজার তৈরির জন্যও টাকা বরাদ্দ করতে পারে অর্থ দফতর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement