রাহুল চক্রবর্তী: প্রতি বছরই ধানের মরশুমে আসেন৷ কিছু টাকা রোজগার করেন৷ মাস খানেক থেকে ফিরেও যান৷ এতে জমির মালিক ও ধান কাটতে আসা শ্রমিক উভয়েরই উপকার হয়৷ কিন্তু কেন্দ্রের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন দু’জনই৷ সমস্যার কথা সরাসরি জমা পড়েছে খাদ্য ভবনে৷ আধিকারিকরা বলছেন, প্রতি বছরই ধানের মরশুমে ফসল কাটার জন্য কয়েক হাজার শ্রমিক মুর্শিদাবাদ ও সুদূর ঝাড়খণ্ড থেকে আসেন বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুরে৷ মাস খানেক থেকে তাঁরা জমিতে কাজ করেন৷ ফসল ওঠার পর নিজের বাড়িতে ফিরেও যান৷ কিন্তু এবার কেউই আসতে পারছেন না৷ দৈনিক হিসাবে টাকা দেওয়া যাবে না বলে জমির মালিকরা আর উদ্যোগও নিচ্ছেন না৷ শ্রমিকদের ডাকছেনও না৷ জমিতে ফসল পড়ে থাকছে, তুলতেও পারছেন না তাঁরা৷
খবর পৌঁছেছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছেও৷ বুধবার তিনি বলেন, “কেন্দ্রের পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্তের জন্য চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷ জমিতে ধান পড়ে থাকছে৷ ধান কাটতে পারছেন না গ্রামাঞ্চলের মানুষজন৷ এর পর যদিও কোনও কৃষক চরম সিদ্ধান্ত নেন, তার দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে৷” এমনকী, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলে এমআর ডিস্ট্রিবিউটারও দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন৷ খাদ্য দফতরে তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন৷
এই নিয়ে আজ বৈঠকে বসছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা৷ নোডাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিস্ট্রিবিউটর বলেছেন, ৩০-৪০ লক্ষ টাকা ড্রাফট করতে হয় তাঁদের৷ কেন্দ্রের টাকা বাতিলের ঘোষণায় তাঁদের নরক যন্ত্রণায় পড়তে হয়েছে৷ সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর৷ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসছি৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.