Advertisement
Advertisement
সদ্যোজাত

সদ্যোজাত কন্যার দেহ অজয় নদের চরে পুঁততে গিয়ে ধৃত বাবা

মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছিল বাবা, পরে টাকা দিয়ে মা ফিরিয়ে আনেন।

Family tries to bury dead kid in Ausgram, locals allege foul play
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 3, 2019 7:55 pm
  • Updated:December 3, 2019 7:56 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: কন্যাসন্তানের জন্ম মেনে নিতে পারেনি বাবা। অভিযোগ, জন্মের পর আড়াই হাজার টাকায় নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রিও করে দিয়েছিল বাবা। পরে তাঁর স্ত্রী আড়াই হাজার টাকা ফেরত দিয়ে সেই সন্তানকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। আর সেটাই বোধহয় কাল হল ওই একরত্তি শিশুটির। আচমকাই ওই কন্যাসন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। আর তার বাবা কাউকে কিছু না জানিয়ে নদীর চরে দেহটি পুঁতে দি্চ্ছিল। পড়শিদের সন্দেহ, বাবা-ই শিশুটিকে খুন করেছে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার ন’পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ মৃত শিশুর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।যদিও অভিযুক্ত বাবার দাবি, এই সদ্যোজাত মেয়ের বসন্তরোগ হয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হ্যাম রেডিওর সৌজন্যে হারানো ছেলেকে খুঁজে পেল পরিবার]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন’পাড়া গ্রামের বাসিন্দা লক্ষীনারায়ণ সামন্ত পেশায় প্রান্তিক চাষি। তার স্ত্রী রাধারাণিদেবী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকার কাজ করেন। তাঁদের বাড়িতে রয়েছে ন’বছর ও সাত বছরের দু’টি মেয়ে এবং চার বছরের একটি ছেলে। রাধারাণিদেবী চতুর্থবার একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বয়স মাস দেড়েক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ লক্ষ্মীনারায়ণ একাই তার দেড়মাসের মেয়ের দেহটি বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অজয় নদের চড়ে পুঁতে দেওয়ার জন্য যখন মাটি খুড়ছিলেন, তখন স্থানীয় কয়েকজনের নজরে পড়ে। তারা আটকে দেন।

[আরও পড়ুন : ফাঁসুড়েই নেই জেলে! নির্ভয়ার ধর্ষকদের সাজা নিয়ে চিন্তায় তিহার কর্তৃপক্ষ ]

স্থানীয় বাসিন্দা বুদ্ধদেব মেটে, গোপালি মেটেরা বলেন, “এই মেয়ে হওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীনারায়ণ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করছিল। ন’পাড়া গ্রামের এক আত্মীয়বাড়িতে এসেছিলেন আউশগ্রামের সামন্তপুর গ্রামের এক নিঃসন্তান মহিলা। তাকে আড়াই হাজার টাকায় মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছিল লক্ষীনারায়ণ। কিন্তু রাধারাণিদেবী গত তিনদিন আগে তাঁর মেয়েকে সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।” প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রাধারাণিদেবী সবসময় আশঙ্কা করতেন তার এই মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে লক্ষীনারায়ণ। তাই কাজে যাওয়ার সময়েও কোলের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। স্থানীয়দের সন্দেহ, তার বাবাই শিশুটিকে মেরে ফেলেছে।  

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement