নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১২৫ জন প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী বহরমপুরের হরিদাসমাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ি বাড়ি অসুস্থ মানুষের খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন। একজন মেডিক্যাল ছাত্র তিনটি পরিবারকে তিন বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রাখবেন। মঙ্গলবার বহরমপুরের হরিদাসমাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন ওই মেডিক্যাল পড়ুয়ারা।
ডাক্তারি পড়ুয়াদের সম্প্রদায় ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতি পরীক্ষামূলক শিক্ষার সুযোগ প্রদান এবং স্বাস্থ্যের সমতা বৃদ্ধি করতে চালু হয়েছে ‘ফ্যামিলি অ্যাডাপশন প্রোগ্রাম’। সমাজের স্বাস্থ্যসেবা বৈষম্য মোকাবিলা করতে এবং বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ডেটা তৈরি করতে শুরু করল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
মঙ্গলবার বহরমপুর পুরসভা সংলগ্ন হরিদাস মাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অসুখ-বিসুখের খোঁজখবর নিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। বাড়ির মালিকের নাম, কজন সদস্য, আগের কোনও রোগ রয়েছে কিনা, বর্তমানে কি কোনও রোগ হয়েছে কিনা সব খোঁজখবরই নিলেন ওই ছাত্রছাত্রীরা। এ বিষয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র ইসাহক শেখ বলেন, “তাঁদের হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয়েছে ‘কমিউনিটি সার্ভের’ জন্য। মোট চারবার তাঁরা বাড়ি বাড়ি সার্ভে করবেন। এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করাও হবে।” আরও এক ছাত্র হিমাদ্রি সিনহা বলেন, “তিনটি পরিবার পিছু একজন দায়িত্ব নেবেন। ওই পরিবারের কোনও সমস্যা হলে, কোনও রোগ হলে তাঁরা ফোন করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ছাত্রছাত্রীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।”
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার অনাদি রায় চৌধুরি জানান, তাঁর অধীনস্থ হাসপাতালের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ফ্যামিলি অ্যাডাপসন প্রোগ্রাম করানো হচ্ছে। সমাজে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনা তৈরি করবেন পড়ুয়ারা। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য যোগাযোগের প্রথম বিন্দু হিসেবে কাজ করছেন ওই স্টুডেন্টরা। প্রতিটি পড়ুয়াকে তিনটি ধাপে তিন বছর ধরে অনুসরণ করার জন্য তিন থেকে পাঁচটি পরিবার দেওয়া হয়েছে। পরিবারের রোগ, অপুষ্টি এবং অসুস্থতা চিহ্নিত করছেন ওই ছাত্রছাত্রীরা। তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ে এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.