সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেপেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। জেলা পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে সিআইডি তদন্তের দাবি জানালেন মৃতের স্ত্রী। যদিও প্রথমে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন বলেই খবর। কিন্তু কেন কয়েকঘণ্টার মধ্যে সুর বদল করলেন তিনি? তা নিয়ে জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
নদিয়ার করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের সংঘ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন মতিরুল শেখ। তাঁর স্ত্রী নারায়নপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। আমতলা মিশনে থাকে দম্পতির ছেলে। তাঁকে দেখতে মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন মতিরুল। বৃহস্পতিবার সন্ধে সেখান থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, টিয়াকাটা ফেরিঘাটে ওই তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মতিরুল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সেই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘক্ষণ। তবে এখনও থমথমে মুর্শিদাবাদের নওদা।
ইতিমধ্যেই খুনের নেপথ্যে উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। অভিযোগ, নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ঘনিষ্ঠ পিঙ্কু মণ্ডল, রাজ কুমার ও মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহেরের ভাগ্নের যোগ রয়েছে গোটা ঘটনায়। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের ভাগ্নে-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী জানান, মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের উপর হাবিবের প্রভাব রয়েছে। ফলে তাঁরা তদন্ত করলে ন্যায় বিচার মিলবে না। সেই কারণে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও প্রথমে মৃতের স্ত্রী সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পরিবারের তরফে বলা হয়, স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়ায় সিআইডি বলার বদলে সিবিআই বলেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.