মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: তদন্তের স্বার্থের আনিসের (Anis Khan Murder Case) মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে চাইছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। এদিন সেই মোবাইল নিতে হাওড়ার আমতার তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা। নোটিশও দেয় পুলিশ। কিন্তু কোনও লাভ হল না। ছেলের ফোন পুলিশের হাতে তুলে দিতে নারাজ সালেম খান। ওই মোবাইল হয় সিবিআই নয়তো আদালতে জমা করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
দুপুরে আনিসের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সিটের সদস্যরা। আনিসের বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিটের উপর তাঁদের আস্থা নেই। সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। কার্যত খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়েছিল সিটের সদস্যদের। রাতে ফের তাঁরা আনিসের বাড়িতে যান। এবার উদ্দেশ্য ছিল, মৃত ছাত্রনেতার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা। কিন্তু সেক্ষেত্রেও অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠল সালেম খানের বিরুদ্ধে।
আনিসের মোবাইল নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছিল পুলিশ কর্মীরা। সেই নোটিশ নেওয়ার আগে ১০ মিনিট সময় চায় পরিবার। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মোবাইল পুলিশের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি তাঁরা। নোটিশে স্বাক্ষরও করেনি পরিবারের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে আনিসের বাবা সালেম খান জানান, “পুলিশকে ছেলের ফোন দেব না। ওখানে চিপ লাগিয়ে আনিসকেই অপরাধী প্রমাণ করে দিতে পারে ওরা। মোবাইল থেকে সব তথ্যও সরিয়ে ফেলতে পারে। এই মোবাইল আদালত কিংবা সিবিআইকেই দেব।” এদিকে আমতা থানায় জেলা পুলিশ আধিকারিকরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন। চলছে আলোচনা।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। ওইদিনই গভীর রাতে হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনজন। একজনের পরনে ছিল খাঁকি উর্দি। ছাত্রনেতার পরিবারের দাবি, তাঁরা নিজেদের আমতা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। এদিকে পুলিশের তরফে রবিবার সকাল পর্যন্ত বারবার দাবি করা হয়েছে, পুলিশের কোনও দল শুক্রবার রাতে যায়নি আনিসের বাড়িতে। এদিকে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। এমন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি হয় সিট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.