সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুর এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণপদ রায়৷ নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা৷ এদিকে, চোখের সামনে বয়স বাড়ছে মেয়ের৷ দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে সময়মতো পাত্রস্থ করাই তো বাবা,মায়ের লক্ষ্য৷ পাত্রের খোঁজ মিললেও, টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না কৃষ্ণপদ বাবু৷ তা করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল বাবার৷ রাতের ঘুম প্রায় উড়েই গিয়েছিল তাঁর৷ চোখের সামনে বাবাকে মুষড়ে পড়তে দেখে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মেয়ে নন্দিনীও৷ বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন৷
কৃষ্ণপদ রায়ের চিন্তার কারণ ঠিক কী, তা জানতেন তাঁর প্রতিবেশীরা৷ আচমকাই একদিন এক প্রতিবেশী তাঁকে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের কথা জানায়৷ এই প্রকল্প এক্কেবারেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এবং স্বপ্নের প্রকল্প৷ রাজ্যের গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দিতে যাতে অভিভাবকদের কোনও সমস্যা না হয় তাই এই প্রকল্প তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিয়ের ঠিক মাসখানেক আগে কার্ড নিয়ে বিডিও অফিসে ‘রূপশ্রী’ দপ্তরে আবেদন করতে হয়৷ উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পরই রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা ওই আবেদনকারী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ এটি জানতে পেরে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকার জন্যই আবেদন করেন কৃষ্ণপদ রায়৷
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ২৫ হাজার টাকা পান তিনি৷ ওই টাকা হাতে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিনি৷ এরপর রীতিমতো অনুষ্ঠান করে মেয়ে নন্দিনীর বিয়ে দেন কৃ্ষ্ণপদ রায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়ে মেয়ের বিয়ে দিতে পেরে খুশি বাবা৷ বিয়ের ভাবনায় অন্ধকারে ডুবে যাওয়া পরিবারের কাছে যেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবদূতের মতো ধরা দিয়েছেন৷ এভাবে বিপদের দিনে সাহায্যে পেয়ে বেজায় আনন্দিত নবজীবনে পা রাখা নন্দিনীও৷ বাবাকে আবারও হাসতে দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.