দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ভিড়ের ঠেলা সামলাতে না পেরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শেওড়াফুলি জংশনের কাছে। ২ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি হুগলিতে, অন্যজন বরানগরে থাকেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে হাওড়া-ব্যান্ডেল আপ লোকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর কারণে ট্রেনে এমনিতেই ভিড় ছিল প্রচুর। তার উপর নিত্যযাত্রীরাও ওই সময় অফিস থেকে ফেরেন। ফলে ট্রেনে ভিড় বেড়েছিল। সেই ভিড়ের ঠেলা সামলাতে না পেরেই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেন যখন শেওড়াফুলি স্টেশন ছেড়ে বৈদ্যবাটির দিকে যাচ্ছিল তখন ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে যান প্রথম ব্যক্তি। তারপর পরই আরও একজন ভিড়ের চাপে পড়ে যান। দু’জনের পিঠই ছিল ব্যাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে তাঁরা কেউই ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ফলে দরজায় কার্যত বাদুড়ঝোলা হয়েই যাচ্ছিলেন তাঁরা। স্টেশন ছাড়ার পর কেবিনের কাছে একটি পোস্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে প্রথমজনের। তিনি পড়ে যান। তারপর অন্যজন পড়েন। দুর্ঘটনা ঘটা মাত্রই খবর দেওয়া হয় জিআরপিতে। তারাই এসে দু’জনকে উদ্ধার করে। যদিও ততক্ষণে মৃত্যু হয় ওই দুই যাত্রীর। তাঁদের দেহ সোমবার রাতেই শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ, মঙ্গলবার দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত হবে। তারপর তা তুলে দেওয়া হবে মৃতদের পরিবারের হাতে। জানা গিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির একজনের বাড়ি হুগলিতে। তাঁ নাম সুবীর কুণ্ডু। শ্রীরামপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে হুগলিতে নিজের বাড়ি যাচ্ছিলেন। মৃত অন্য ব্যক্তির নাম ভিকি সিং। বরানগরের বাসিন্দা তিনি। হাওড়া থেকে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। যাচ্ছিলেন চুঁচড়া।
প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দাননগরে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য হাওড়া মেন লাইনে ভিড় হয় প্রচুর। প্রাণ হাতে করে যাত্রা করতে হয় মানুষকে। তার ফলেই এমন দুর্ঘটনা বলে জানান নিত্যযাত্রীরা। চার বছর আগে এমনই একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল এক ব্যক্তির। সেবারও ভিড়ের ঠেলা সামলাতে না পেরে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.