সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: নামী বহুজাতিক সংস্থার সিগারেটের নাম ভাঙিয়ে শহরে রমরমিয়ে চলছে নকল সিগারেটের ব্যবসা। ফলে একদিকে যেমন মার খাচ্ছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ সংস্থার ব্যবসা। তেমনি অসুরক্ষিত এবং নাম-গোত্রহীন ওই সমস্ত সিগারেট সেবনে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ফলে আতঙ্কে সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলেই।
[২৫০ কেজি গাঁজা-সহ সিআইডি জালে উত্তরপ্রদেশের দুই বাসিন্দা]
সম্প্রতি শিলিগুড়ি শহরের বেশ কয়েক জায়গায় এমন নকল সিগারেট মজুতের খবর মিলেছে। তার ভিত্তিতে ওই সংস্থার একটি এনফোর্সমেন্ট দল অভিযান চালিয়ে বেশকিছু নকল সিগারেট উদ্ধার করেছে। আরও কয়েক জায়গায় এমন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তবে এখনও এ বিষয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়নি বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা বলেন, “পুলিশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যদি কোনওরকম সাহায্য চাওয়া হয়, আমাদের তরফে কোনও সমস্যা হবে না।” সংস্থার এক প্রতিনিধি অসীম গুপ্ত বলেন, “এই সিগারেট নিম্নমানের। অসুরক্ষিতভাবে তৈরি হওয়ায় তামাকও নিম্নমানের। ফলে সাধারণ সিগারেটে যতটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা এতে তার শতগুণ সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।”
[শীতকাল মানেই খেজুর গুড়, রইল রসভাণ্ডার তৈরির নেপথ্য কাহিনি]
তাছাড়া কোনওভাবে উপভোক্তাদের অসুস্থতার মধ্যে পড়তে হলে তার দায় সংস্থার উপরই পড়বে। সংস্থার নির্দিষ্ট একটি ব্র্যান্ডের সিগারেটের নকল করে বাজারে আনার এই বিষয়টি শুধুমাত্র শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। শিলিগুড়ি হায়দার পাড়া ঘুগনি মোড়, ভারতনগর তরুণ তীর্থ ক্লাব চত্বর, নকশালবাড়ি, শিবমন্দির এবং গ্যাংটকে এভাবে বেআইনি সিগারেট মজুদের খবর মিলেছে। তার মধ্যে কয়েক জায়গায় ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে সংস্থার এনফোর্সমেন্ট শাখা। বৈধ এক ডিস্ট্রিবিউটার সংস্থার ব্র্যান্ডের আড়ালে ওই বেআইনি ব্র্যান্ড বিক্রি করায় তার তিনটি স্টক পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থা বলে জানা গিয়েছে। তাদের মূল মাথাব্যথা এখন কোথায় এই নকল সিগারেট তৈরি হচ্ছে তা খুঁজে বের করা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.