রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে দু’জন। অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুল, জেলা পরিষদ, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ একাধিক সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়া হবে বলে মোটা টাকায় ফর্ম বিক্রি করছিলেন এক যুবক ও যুবতী। শনিবার দুপুরে তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। এরপরই তাঁদের বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী, আদালতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ]
জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের পাঁচ নম্বর ইচ্ছলাবাদের বাসিন্দা কিরণকুমার বিশ্বাস। হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছিলেন তিনি। এরপরই বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পোস্টার তাঁর নজরে পড়ে। সেখানে কর্মখালির বিজ্ঞাপনের পাশে থাকা নম্বরে ফোন করেন তিনি। সেই সময় ফোনে তাঁকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রথমেই ফোনে তাঁর কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা লেনদেনের জন্য এক যুবতী কিরণকে বর্ধমান টাউন হলে দেখা করতে বলেন। কিরণবাবুর অভিযোগ, তাঁকে বারবার ফোন করে বর্ধমান টাউন হলে যেতে বলেন ওই তরুণী। এরপর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত জায়গায় হাজির হন কিরণ।
সেখানে যেতেই তাঁকে বলা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ার, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর, জেলা পরিষদ-সহ একাধিক দপ্তরে চাকরি দেওয়া হবে। তবে তার জন্য দশ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। চাকরি পাওয়ার পর আরও টাকা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় ওই যুবতী। তবে পুরো টাকা না দেওয়া পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীদের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের শংসাপত্র জমা রাখতে হবে বলে জানান ওই যুবতী। এতেই সন্দেহ হয় কিরণবাবুর।
এরপরই চাকরি প্রার্থীরা ওই যুবতী ও যুবককে আটকে রেখে খবর দেয় বর্ধমান থানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের আটক করে। তবে ধৃত অশোক দাসের কথায়, “আমিও টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি ওই মহিলার সঙ্গে যুক্ত নই।” অভিযুক্ত শম্পা দাস বলেন, “আমি টাকা চেয়েছিলাম। তবে, কারও থেকে টাকা নিইনি। এই বিষয়ে সব কিছু আমার দুর্গাপুরের স্যার জানেন।” কে এই দুর্গাপুরের স্যার? তিনিই কি মূল চক্রের পাণ্ডা? পুলিশের খাতায় তিনি কি অপরাধী? এসব জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.