স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে ফের ভুয়ো ডাক্তারের হদিশ মিলল৷ প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ খেয়ে রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ৷ তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে৷তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে৷ অভিযুক্ত চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেন রোগীর পরিবারের লোকেরা৷ তাঁদের দাবি, তিনি যে চিকিৎসক নন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই যুবক৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের আদর্শনগরে৷
[রাতভর তুমুল বৃষ্টি ভুটান পাহাড়ে, বন্যা পরিস্থিতি আলিপুরদুয়ারে]
অভিযুক্তের নাম রাকেশ মণ্ডল৷ বছর দুয়েক ধরে সোনারপুরের আদর্শনগরে চেম্বার খুলে ডাক্তারি করছেন তিনি৷ তাঁর প্যাডে লেখা, ডিআইএএম অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইন অ্যালোপ্যাথি মেডিসিন৷ দিন কয়েক আগে রাকেশের কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন রমা হালদার নামে এক তরুণী৷ তাঁর পরিবারের দাবি, ওই তরুণীকে সুস্থ করতে তুলতে পারেননি রাকেশ মণ্ডল৷ উলটে অসুস্থতা আরও বাড়ে৷ সোমবার বাড়িতে জ্ঞান হারান রমা৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই চিকিৎসককে ডেকে আনা হয়৷ মাত্র একঘণ্টার মধ্যে ওই তরুণীকে পাঁচ বোতল স্যালাইন ও বেশ কয়েকটি ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন রাকেশ৷ প্রেসক্রিপশনও লিখে দেন৷ রমাকে সেই ওষুধ খাওয়ানো হয়৷ চালু হয় স্যালাইনও৷
রমার পরিবারের অভিযোগ, ওষুধ ও স্যালাইন চালুর হওয়ার পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী৷ অসুস্থতা এতটাই বাড়ে যে, মঙ্গলবার হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়৷ রোগীর বাড়ির লোকেদের দাবি, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভুল চিকিৎসার কারণেই রমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে৷ এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক৷ বিষয়টি জানাতে হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সোনারপুরের আদর্শনগরে৷ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত রাকেশ মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেন রোগীর বাড়ির লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁদের দাবি, তিনি যে চিকিৎসক নন, তা স্বীকার করেছেন রাকেশ৷ রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ৷
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
[জগন্নাথ মূর্তিতে জুড়ে দেওয়া হয় হাত ও পা, অভিনব স্নানযাত্রা বর্ধমানের কালনায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.