Advertisement
Advertisement

Breaking News

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

সিপিএম থেকে দলে নেওয়া চলবে না, বর্ধমানে বিজেপি কার্যালয়ে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

জেলা সদর কার্যালয়ের মধ্যেই দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায়৷

Factional feud within Burdwan BJP Unit, shots fired
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 18, 2019 1:58 pm
  • Updated:June 18, 2019 5:33 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নব্য বনাম পুরনো৷ দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে আপাতত সরগরম বর্ধমানের বিজেপি নেতৃত্ব৷ সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগদান করা সদস্যদের গ্রহণ করতে চান না দলের পুরনো কর্মীরা৷ এই দাবি তুলে সোমবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা৷ জেলা সদর কার্যালয়ে চলে ভাঙচুর৷ আক্রান্ত হন জেলা যুব মোর্চা সভাপতি শ্যামল রায়৷ তাঁর বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি চলে বলেও অভিযোগ৷

[আরও পড়ুন: কোচবিহারের জলাজমি থেকে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর নলিকাটা দেহ]

লোকসভা ভোটের আগেই বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপি যোগদানের হিড়িক পড়েছিল৷ বর্ধমানের সিপিএম নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইনুল হক ভোটের আগেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে৷ সেদিন থেকেই ক্ষোভ বাড়ছিল বিজেপির পুরনো কর্মীদের মধ্যে৷ সম্প্রতি তাঁর হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে পা রাখেন তাঁর অনুগামী খোকন সেন৷ তারপর থেকেই বর্ধমান বিজেপিতে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে৷ যার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল সোমবার রাতে৷

Advertisement

শ্যামল রায়ের অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়িতে আচমকাই চড়াও হয় খোকন সেনের অনুগামী একদল কর্মী, সমর্থক৷ হামলা চালানো হয়৷ বাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করার পাশাপাশি সদস্যদেরও মারধর এবং বাড়ির বাইরে গুলি চলে বলে অভিযোগ৷ হামলা চলে বর্ধমানের ডিভিসি মোড়ে, বিজেপি জেলা সদর কার্যালয়ে৷ ছিঁড়ে ফেলা হয় বিজেপির পতাকা, পোস্টার৷ পার্টি অফিসের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষ৷

[আরও পড়ুন: তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, গুরুতর জখম দুর্গাপুরের এক সার্কেল ইন্সপেক্টর]

জেলার যুব মোর্চা সভাপতি অভিযোগ, সিপিএম থেকে যাদের দলে নেওয়া হয়েছে, তারা এখনও বিজেপি হয়ে উঠতে পারেনি৷ এদের দলে রাখলে, তাঁর মতো পুরনো কর্মীরা দলত্যাগ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্যামল রায়৷ অন্যদিকে, আক্রান্ত খোকন সেন গোষ্ঠীর দাবি,‘আমরা এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করি৷ এলাকার মানুষজন আমাদের ভালবাসেন৷ আর শ্যামল রায়দের কাজ শুধু তোলাবাজি৷ শ্যামল রায়রা এসব সহ্য করতে পারছে না৷ তাই আমাদের উপর হামলা করছে৷’ তবে জেলার সাংগঠনিক সভাপতি সন্দীপ নন্দীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ তিনি একেবারেই কুলুপ এঁটেছেন৷ একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাঁকে পাওয়া যায়নি৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement