ছবি: প্রতীকী
আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: গোষ্ঠী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি। রাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁচরাপাড়া। এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হয় নাবালিকা। মায়ের সঙ্গে ওষুধ কিনতে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির মধ্যে পড়ে যায় ওই খুদে। বোমার সপ্লিন্টার বিঁধেষে তার শরীরে। গুরুতর জখম অবস্থায় বছর দশেকের বর্ষা সরকারকে তড়িঘড়ি কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। বোমার আঘাতে জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি এক যুবকও। তাঁর নাম সানি যাদব। সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে ব়্যাফ। সোমবার গভীররাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীজপুর থানার কাঁপা পঞ্চায়েত এলাকায়।
এদিকে সকাল পর্যন্ত যা খবর, আক্রান্ত নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোটা ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরস্পরের উপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এলাকায় দুষ্কৃতী উপদ্রব বেড়েছে। রাতের ঘটনা তারই নামান্তর। এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা এটিকে গোষ্টী সংঘর্ষ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, দুষ্কৃতী তাণ্ডবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাত্রীটি সুস্থ হয় সেদিকটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে সুচিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতায়ও নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে এদিনই কাঁচরাপাড়ায় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই পুজো কমিটির গন্ডগোলে উত্তেজনা ছড়ায়। লিচুবাগান ও জোড়া মন্দিরের দুই পুজো কমিটির শোভাযাত্রা একই সময়ে রাস্তায় চলে আসায় সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, শোভাযাত্রা চলাকালীন এক মহিলাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করা হয়। তারপরই দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। খবর পেয়ে পাড়ার আরও শ’খানেক লোক ছুটে আসেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই ক্লাবের সদস্যরা বাঁশ, লাঠি, ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এলাকার দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ঘোষপাড়া রোডে বন্ধ হয়ে যায় সব গাড়ি চলাচল। ঘটনায় সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লাঠি উঁচিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। গভীররাত পর্যন্ত ওই এলাকায় আর কোনও প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করা যায়নি। এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.