Advertisement
Advertisement

Breaking News

ন’মাস পর নিখোঁজ ছেলেকে ঘরে ফেরাল ফেসবুক

ছেলের শোকে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন বাবা।

Facebook reunites lost boy with family
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 15, 2018 9:34 am
  • Updated:September 15, 2018 9:34 am  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মায়ের বকাবকিতে অভিমানে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল শংকর বিশ্বাস। প্রায় ৯ মাস নিখোঁজ থাকার পর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এল। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়া থানার বৈঁচি বিড়াল এলাকার গয়লাপুকুরে। ছেলেকে ফিরে পেয়ে এখন পরিবারে খুশির হাওয়া। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শংকর দাস স্থানীয় বাটিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার থেকে খেলতে বেশি ভালবাসে সে। এনিয়ে বাবার দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। পড়াশোনা নিয়ে বাবা ছেলেকে বকেছিলেন। আর তাতেই অভিমান করে ন’মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শংকর। তারপর বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ফেসবুকই ছেলেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে দিল।

[মহরমের আগে কাটোয়ায় মাজার সংস্কারে হাত লাগিয়েছেন হিন্দুরা]

Advertisement

শংকর নিখোঁজ হওয়ার পর তার বন্ধুবান্ধব ও দাদা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি-সহ নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে দেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সম্ভাব্য এলাকায় ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজখবর চালাতে থাকেন সকলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিখোঁজ কিশোর শংকরের ছবি দেখে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আজমেরের বালকল্যাণ নামে একটি হোমের কর্তাব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার রাতে শংকরে তার পরিবারের সঙ্গে পাণ্ডুয়ার বাড়িতে ফিরে আসে। নিখোঁজ কিশোর জানায়, সে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে বৈঁচি স্টেশন থেকে বর্ধমান যাওয়ার ট্রেনে উঠে পড়েছিল। মেমারি স্টেশনের পর থেকেই তার আর কিছু মনে পড়ে না। শংকরের কথায়, যখন হুঁশ ফেরে তখন সে দেখে রেলওয়ে কারশেডে একটি ট্রেনের মধ্যে শুয়ে আছে। পরে জানতে পারে সেটা আজমেরের রেলওয়ে কারশেড। স্থানীয় জিআরপি তাকে উদ্ধার করে। আদালতের নির্দেশে বালকল্যাণ নামে ওই হোমে শংকরের স্থান হয়। কিন্তু সে নিজের বাড়ির ঠিকানা ভুলে যায়। তাই তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। শেষে ফেসবুকে শংকরের ছবি দেখে তার পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

শংকরে মা শ্যামলী দাস ছেলেকে ফিরে পেয়ে আর নিজের কাছছাড়া করতে চাইছেন না। তিনি বলেন, “ছেলে চলে যাওয়ার পর থেকেই বাবা শোকে পাগল হয়ে বেশিরভাগ সময় রাস্তাঘাটে মাঠে পড়ে থাকতেন। ছেলের খোঁজ করতে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা বাজারে ধার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। শ্যামলীদেবী জানান, এখনও শংকর অনেক কিছু মনে করতে পারছে না। শরীরটাও এই কয়েক মাসে খারাপ হয়ে গিয়েছে।

[ভারতীয় সেনার বড়সড় সাফল্য, উপত্যকায় নিকেশ তিন জঙ্গি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement