রাহুল চক্রবর্তী: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে যে দলের দিকে গোটা দেশের নজর, বঙ্গের উপনির্বাচনেও তারা উপস্থিতি জানান দিল। আরও একটু স্পষ্ট করে বললে, বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচনে এবারই প্রথম প্রার্থী দিল শিবসেনা। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই বলে জানালেন নেতৃত্ব। শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। যে কারণে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হয়নি। রাষ্ট্রপতি শাসনের সিলমোহর পড়তে চলেছে।
বিজেপি-শিবসেনার এই ফাটলের আঁচ পড়েছে বঙ্গের নির্বাচনেও। আর সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে প্রার্থী দিয়েছে শিবসেনা। মহারাষ্ট্রে শক্তিশালী হলেও পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনার অস্তিত্ব শুধুমাত্র খাতায়-কলমে। নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের রাজ্যজুড়ে সদস্য ৪২ হাজার ৩৩২। ঝাড়গ্রাম বাদে সব জেলাতেই ইউনিট রয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনে নির্বাচনে। তিন আসনের বিচার বিশ্লেষণ করে খড়গপুর সদর কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে শিবসেনা। ৩৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ী দেবায়ন পতিকে প্রার্থী করা হয়েছে। শিবসেনার রাজ্য মুখপাত্র অশোক সরকার বলেন, “২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৭টি কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচনে আগে লড়া হয়নি। খড়গপুর উপনির্বাচন দিয়েই শুরু। আগামী পুরসভা ও একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়া হবে।”
ডান, বামের সঙ্গে বিজেপির ‘মেকি হিন্দুত্বের’ বিরুদ্ধে লড়াই বলে জানালেন তিনি। আগামিদিনের লড়াই-আন্দোলনের কর্মসূচি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “কোনও হিন্দু যেন গৃহহীন না হয়, তা নিয়ে আমাদের বৃহত্তর আন্দোলন হবে।” খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তিনি মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ফলে তাঁকে বিধায়ক পদ ছাড়তে হয়। সেই কারণেই খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। লোকসভাতেও দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। এবার প্রার্থী দেওয়া হল বিধানসভার উপনির্বাচনে। কিন্তু খড়গপুর বাদে করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জে প্রার্থী দেয়নি তারা। ইতিমধ্যে জোর কদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন শিবসেনা প্রার্থী দেবায়ন পতি। মুম্বই থেকে তারকা শিল্পী এনে প্রচারে ঝড় তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে। প্রার্থীর বক্তব্য, “জিততে পারব কি না জানি না। কিন্তু মানুষের পাশে থাকাটাই আমার কাজ। আর সেটাই করে যাব।” যদিও শিবসেনা প্রার্থীকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি। দলের এক নেতার বক্তব্য, “যে দলের এক শতাংশ ভোটও নেই, তাদের নিয়ে আলোচনা অর্থহীন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.