সোমনাথ পাল, বনগাঁ: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বেনাপোল সীমান্তে ট্রাক ধর্মঘটে বসেছে ভারতীয় ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠন| গত দু’দিন ধরে চলা এই ট্রাক ধর্মঘট সোমবার তৃতীয়দিনে পা দিল৷ ভারতীয় ট্রাক মালিকদের স্পষ্ট অভিযোগ, বেনাপোলে কার্যত জুলুমবাজি চালাচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা৷ নিজেদের ইচ্ছামতো লাগামছাড়া পারিশ্রমিক চাইছেন তাঁরা৷ দিতে রাজি হলে কাজ করতে চাইছেন না৷ অত্যাচার চালানো হচ্ছে ভারতীয় ট্রাক চালকদের উপরে৷ ফলে বেনাপোল সীমান্তে চরম বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় ট্রাকগুলিকে৷
[কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আমন্ত্রণেও সাড়া মিলল না, বাতিল বাবুলের অনুষ্ঠান]
বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ভারতীয় ট্রাক চালকদের৷ তাঁদের উপর চলে অত্যাচার এবং বাংলাদেশে ঢুকলেই রহস্যজনক ভাবে ভারতীয় ট্রাকে লেগে যায় আগুন৷ এর প্রতিবাদে আগেও ট্রাক চালানো বন্ধ রেখে ধর্মঘটে বসেছেন ভারতীয় শ্রমিকরা৷ প্রায়শই এই অঞ্চলে ব্যাহত হয় সীমান্ত বাণিজ্য৷ তবে এবার পরিস্থিতি মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভারতীয় ট্রাক চালক ও মালিক সংগঠন৷ বেনাপোল বন্দরে বাংলাদেশী শ্রমিকদের লাগামহীন অর্থ উপার্জনের লালসায় বীতশ্রদ্ধ তাঁরা৷ ফলে অলিখিত বন্ধের চেহারা নিয়েছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোলের আমদানি রপ্তানি ব্যবসা৷ বনধের জেরে দাঁড়িয়ে পড়েছে শ’খানেক পন্য বোঝাই ট্রাক।
[মাঝেরহাটের পর বিপর্যয় কাকদ্বীপে, ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু]
পেট্রাপোল সীমান্ত ক্লিয়ারিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর দু’দেশের প্রতিনিধিরা যৌথ আলোচনায় একটি মজুরি স্থির করেন৷ সিদ্ধান্ত হয়, ১০ চাকার ট্রাকের মাল খালাস করতে ধার্য হবে ১৭০০ টাকা, ছ’চাকার ট্রাকের মাল খালাস করতে ১২০০ টাকা নেওয়া হবে এবং চার চাকার ট্রাকের মাল খালাস করতে আটশো টাকা নেওয়া হবে৷ অভিযোগ, সেই নিয়মবিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে বাংলাদেশী শ্রমিকরা৷ ইচ্ছামতো লাগামহীন মজুরি চাইছেন তারা৷ ফলে ভারতীয় ট্রাক চালক ও মালিকরা পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে ওপারে যেতে চাইছেন না৷ সমাধান সূত্রে পেতে রবিবার বৈঠকে বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। তবে কোনও তেমন সমাধান সূত্র মেলেনি বলেই সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.