সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। হারতে হয়েছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকেও। তার পর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে সরব তিনি। শুক্রবার কারও নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে হারা আসন জেতার প্ল্যানিং করা হয়। এখন হয় উলটোটা। জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং করা হয়েছে।”
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে দিলীপকে তুলে এনে প্রার্থী করা হয় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা (Bardhaman Durgapur Lok Sabha) কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, মেদিনীপুর থেকে গতবার জিতেছিলেন দিলীপ। সেই সময়ে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ভোট লড়াইয়ে নেমে পড়েন আরএসএসের একনিষ্ঠ কর্মী। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদকে (Kriti Azad)। তাঁর কাছেই হেরেছেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। হারের পরই কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। তার পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন।
উনিশের নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ১৮টি আসন পেয়েছিল। এবার তা কমেছে। নিজের হার ও দলের খারাপ ফলাফলের পাশাপাশি তাঁকে মেদিনীপুর আসন থেকে লড়তে না দেওয়ার পিছনে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন দাপুটে নেতা। তিনি বলেন, “মেদিনীপুরে লড়তে দেওয়া হল না। সেখানে সময়, টাকাপয়সা সবই দিয়েছিলাম। সবাই এখন রেজাল্ট জানেন। আমাদের সাংসদ, বিধায়ক অনেক ছিলেন। তাহলে ভোট কমল কেন? পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতাদের কি হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল?”
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বেশ কয়েকজন জয়ী প্রার্থীর কেন্দ্র বদলে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের জেতা কেন্দ্রর পরিবর্তে তুলনামূলক কঠিন আসনে তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছিল। সেই তালিকায় দিলীপের সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী (Debashree Chowdhury)। তাঁকে কলকাতা দক্ষিণে তৃণমূলের মালা রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়। হেরে যান দেবশ্রী। তবে রায়গঞ্জ আসনে বিজেপি জিতেছে। সেই বিষয়টি তুলে ধরে দিলীপ বলেন, “রায়গঞ্জে দল জিতেছে। ওখানে দলের যিনি জিতেছেন, তিনি গ্রামীণ পুরসভার নেতা। তিনি জিতলেন, দেবশ্রী জিততেন না! এর পিছনে কী আছে দেখতে হবে।” ভোটের পর দিলীপের একের পর এক মন্তব্যে বিপাকে নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.