সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ভোলে ব্যোম রাইস মিলের ভিতরে বিলাসবহুল পাঁচটি গাড়ি। প্রতিটিতে তৃণমূলের স্টিকার। এই গাড়ির মালিক কে? কী কাজে ব্যবহার করা হত এই গাড়িগুলি, সেটাই এখন প্রশ্ন। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুপুপ এঁটেছেন মিল কর্মীরা। তবে স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই ওই মিলে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা।
শুক্রবার সকালে প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ ভোলে ব্যোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই। এরপরই মিলের পিছনের দিকে নজরে পড়ে একটি গ্যারাজ। দেখা যায়, সেখানে একের পর এক রাখা রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি। সবক’ টি গাড়ির রং কালো। তাতে তৃণমূলের স্টিকার দেওয়া। গাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তৃণমূলের ব্যাজ। গাড়িতে লেখা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফলে গাড়িগুলি কী কাজে ব্যবহার হত, কেন ওই মিলে রাখা, তা বড় প্রশ্ন। পাশাপাশি কে এত গাড়ির মালিক? আদতে কী কাজে ব্যবহার হত এগুলো, তা এখনও অজানা। এবিষয়ে একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কেউ সদুত্তর দেননি। তাই গাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে নেই। অনেকেই অন্য কোনও অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারির পরই প্রকাশ্যে আসে তাঁর একাধিক সম্পত্তি। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর নামে মিলেছে তিন থেকে চারটি রাইস মিল। যার একটি ভোলে ব্যোম। শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বীরভূমের কালিকাপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে পৌঁছন সিবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। কিন্তু তারা দেখেন মিলের গেট ভিতর থেকে বন্ধ করা। ফলে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিল খোলার কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর খোলা হয় গেট। ভিতরে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। এরপরই জেরার মুখে পড়তে হয় মিল কর্মীদের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও মিলেই রয়েছেন আধিকারিকরা। সেখানে চলছে তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.