Advertisement
Advertisement

দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে খুন হওয়ার আশঙ্কা, কলকাতা ছাড়লেন ঋতব্রত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন বহিষ্কৃত সাংসদের৷

Expelled CPIM MP Ritabrata Banerjee asks for security from state and centre
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 15, 2017 8:52 am
  • Updated:September 15, 2017 8:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বিড়ালের গলায় ঘন্টা বেঁধেছেন৷ দল তাঁকে ছাড়বে না৷ প্রাণের ভয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতায় নিজের বাসভবন ছাড়ছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলেরই একাংশের নেতা-কর্মী তাঁকে খুন করতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন দলের এককালের এই ‘তরুণ তুর্কি’৷ প্রাণ বাঁচাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেছেন৷

দলের তরফে তাঁকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো না হলেও ঋতব্রত হুমকি দিয়েছেন, তদন্ত কমিটির নামে ক্যাঙারু কোর্টের পর্দাফাঁস করে দেবেন দ্রুতই৷ দলের অন্দরে তাঁর বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত চক্রান্ত হয়েছে, তার গোপন অডিও টেপ দ্রুতই প্রকাশ্যে আনবেন তিনি৷ মহম্মদ সেলিম যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে ফাঁসাতে চাইছেন, সেটাও রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন৷ এখনই আমূল সংস্কার না হলে বঙ্গ সিপিএম আড়াআড়ি ভাগ হয়ে হয়ে যাবে বলেও সতর্ক করেছেন ঋতব্রত৷

Advertisement

 

অভিযোগ, বরাবরই বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ঋতব্রত৷ অ্যাপল ওয়াচ বা মাঁ ব্লাঁ পেন ব্যবহার করেন আগাগোড়া৷ কিন্তু তাঁকে ফাঁসাতে এখন সেই সব ‘মামুলি জিনিস’কে তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করছে বঙ্গ সিপিএমের একাংশ, অভিযোগ ঋতব্রতর৷ তাঁর দাবি, অনেক বাম নেতাই আইফোন ছাড়া ঘোরেন না৷ কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠে না৷ যত দোষ কেবলমাত্র তাঁর বেলাতেই, প্রশ্ন তুলছেন বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা৷ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে দিল্লিতে হেনস্তার নির্দেশ দলেরই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এসেছিল বলে দাবি করেছেন৷ অথচ, দেশ জুড়ে ওই জঙ্গি আন্দোলনের নিন্দা শুরু হতেই দলের শীর্ষ নেতারা তাঁকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে তুলে ধরেন বলে বোমা ফাটিয়েছেন ঋতব্রত৷


সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্দরে কারাত ও সীতারাম শিবিরের মধ্যে যে তুলকালাম লড়াই চলছে, সেটাও ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি৷ সেই সঙ্গে এমপি ল্যাডের টাকা নিয়েও নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে৷ রাজ্যসভার সাংসদ প্রতি বছর নানা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি করে টাকা পান৷ প্রায় তিনি বছর রাজ্যসভার এমপি রয়েছেন ঋতব্রত৷ কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ১৫ কোটি টাকার বেশিরভাগটাই কীভাবে খরচ হয়েছে তিনি নাকি জানেনই না৷ পুরোটাই ঠিক করে দল৷ যার স্পষ্ট হিসাবও তাঁর কাছে নেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement