নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: জেলা আরটিও সদস্যের সহযোগিতায় অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল বনগাঁর এক অসুস্থ ছাত্রী। জট কাটিয়ে পরীক্ষা দিতে পারে আপ্লুত সে।নিউ বনগাঁ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী পূজা সরকার। মাধ্যমিকে তার কেন্দ্র ছিল বনগাঁ কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরীক্ষার দিন কয়েক আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে পূজা। ভেবেছিল, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতেই পারবে না। তাই নির্দিষ্ট দিনে স্কুলে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড নেয়নি পূজা। কিন্তু সোমবার সে একটু সুস্থ হতেই পরীক্ষা দেবে বলে মনস্থির করে। কিন্তু অ্যাডমিট ছাড়া কীভাবে পরীক্ষা দেবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
সমস্যা সমাধানে স্থানীয় আরটিও সদস্য তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের দ্বারস্থ হন পূজার বাবা প্রশান্ত সরকার। আবেদন জানান, মেয়ের জন্য অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করে দিতে। তাহলে মাধ্যমিকের জন্য আর এক বছর ধরে বসে থাকতে হবে না পূজাকে। সঙ্গে সঙ্গে গোপালবাবু পূজার মাকে নিয়ে চলে যান বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে। ফোন করেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অ্যাডমিট ছাড়া পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতি পাওয়া যাবে কি না, তা খোঁজ নেন। প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাদের আশ্বাস পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে তিনি নিজের গাড়ি করে পূজাকে পৌঁছে দেন তার নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে। তিনি জানান, ছাত্রীর বাবার আবেদন শুনে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদে যোগাযোগ করি। কীভাবে পূজা অ্যাডমিট ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে পারবে, তা নিয়ে কথা বলি। এমনকী শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরেও কথা বলে ওর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।’
পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যে ফাঁস মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র!
প্রাক্তন বিধায়কের এই তৎপরতায় মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম দিন নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় পূজা। পরীক্ষা শুরুর আগেই ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের পৌঁছে যায় পূজার অ্যাডমিট কার্ড। ফলে জটিলতা কাটিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষা দিল নিউ বনগাঁ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। বছর নষ্ট না হওয়ায় খুশি ছাত্রী ও তার পরিবার। প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.