Advertisement
Advertisement

Breaking News

কোচবিহারে রহস্যজনকভাবে গৃহস্থের বাড়িতে মরে পড়ছে হরিতাল পাখি 

চলছে পাখির মৃত্যুমিছিল! রোজ শুধু একটিই বাড়িতে মরে পড়ছে পাখি!

Every Day, A Bird Dies In This House
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 26, 2016 9:04 am
  • Updated:November 26, 2016 9:04 am  

স্টাফ রিপোর্টার: কোচবিহার শহরের নির্দিষ্ট একটি বাড়িতে হরিতাল পাখির মৃত্যুমিছিল নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে৷ কোচবিহার শহরের গান্ধীনগরে অবস্থিত কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রেবা কুণ্ডুর পাশের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটছে৷ ছটপুজোর দিন থেকে দুটো-একটা করে হরিতাল পাখি পড়ে মারা যাচ্ছে এই বাড়ির উঠোনে৷ এদিন বিষয়টি জানাজানি হতেই বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন৷ কোচবিহার বনদফতরের আধিকারিকরা এদিন গিয়ে একটি মৃত পাখির দেহ নিয়ে এসেছে৷ আজ শনিবার তা ময়নাতদন্ত করে দেখা হবে৷ ওই বাড়ির গৃহকর্তা রমেশ হরিজন বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না৷ প্রতিদিনই দু’টি-তিনটি করে পাখি পড়ছে৷ কিছু পড়েই মারা যাচ্ছে, আবার কিছু পড়ে ছটফট করছে৷ তাঁরা জল দিচ্ছেন কিন্তু তাও বাঁচানো যাচ্ছে না৷ কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে তা জানেন না কেউই৷
কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রেবা কুণ্ডু বলেন, এদিন তিনি গিয়েছিলেন ওই বাড়িতে৷ বনমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে৷ কোচবিহার বন দফতরের বনাধিকারিক রথীনচন্দ্র রায় বলেন, আজ শনিবার একটি পাখির দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে৷ তার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ কী! তবে ওই বাড়ির উঠোনেই কেন পাখির মৃত্যুমিছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

bird1_web
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, চার বছর আগে সুকনাতে এরকম ঘটনা হয়েছিল৷ এবার কোচবিহারের গান্ধীনগরে৷ জঙ্গলঘেঁষা জায়গায় থাকা হরিতাল এই এলাকায় কেন মারা যাচ্ছে তা বলা কঠিন৷ তবে প্রকৃতির আপন নিয়ম রয়েছে৷ নিরীহ পাখি আগুনে আত্মাহুতি দেয় দলে দলে তা আমাদের জানা৷ কিন্তু হরিতাল পাখির দল, কেন এভাবে মারা যাচ্ছে, তা ময়নাতদন্তের পরই বলা সম্ভব৷
জানা গিয়েছে, সবুজ রঙের এই পাখির নাম ইয়েলো ফুটেড গ্রিন পিজিয়ন, বাংলার হরিতাল পাখি বলেই সকলে চেনে৷ একসময় এর মাংস মানুষ খুব খেত কিন্তু তা আইনিভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বনজঙ্গল সংলগ্ন স্থানেই পাওয়া যায় কবুতর প্রজাতির এই পাখি৷ কিন্তু সেই পাখি কোচবিহার শহরের মধ্যে জনবসতিপূর্ণ এলাকা গান্ধীনগরের একটি বাড়ির উঠোনেই কেন মরে পড়ছে তা নিয়ে কেউই পরিষ্কার করে কিছুই বলতে পারেননি৷ বছর চারেক আগে সুকনায় হরিতাল পাখির যে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছিল তার কারণ জানা গিয়েছিল যে, কীটনাশক স্প্রে করা ধানের শীষ ও বিষাক্ত জল খেয়ে মারা পড়ছিল পাখিগুলি৷ কিন্তু সেখানে গোটা গ্রামেই পাখি মরে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল৷
অথচ এখানে একটি নির্দিষ্ট বাড়ির উঠোনে পড়ছে৷ দু’-একটি পাশে রমেশবাবুর কাকার বাড়িতে পড়েছে৷ যা রহস্য হিসাবে দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ আর এই রহস্য দ্রুত উন্মোচন করতে নেমেছে বনদফতর৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement