সৌরভ মাজি, কাটোয়া: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। টেকস্যাভিও বটে৷ জানেন, বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার৷ যে কোনও ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড ব্রেক করে তা ব্যবহারেও পটু। এমনকী নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের আইপি-অ্যাড্রেস গোপন করেও ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন। আর এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই স্রেফ মজা করতে এক ছাত্রকে মোমো গেমের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া৷ ভেবেছিলেন, কেউ ধরতে পারবে না। কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সাইবার সেলেও যে দুঁদে টেকস্যাভি অফিসার রয়েছেন, সে ধারণা ছিল না ওই পড়ুয়ার৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। জেলায় এই প্রথম মোমোর প্রস্তাব পাঠিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই যুবক৷
পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, কাটোয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে মোবাইলে মোমো গেম খেলার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল৷ আতঙ্কিত ওই ছাত্র কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন৷ তার ভিত্তিতে সাইবার সেল তদন্তে নামে৷ চিহ্নিত করা হয় মেসেজ প্রেরককে। কেতুগ্রামের শ্রীগ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র অরিন্দম পাত্রকে। শুক্রবার তাকে কাটোয়া আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ওই ছাত্রকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, “জেলায় এখনও পর্যন্ত মোমো গেম সংক্রান্ত ১২টির মতো অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে কাটোয়ার ঘটনার কিনারা করা গিয়েছে। এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
[মোমোর পর এবার ‘ভূতুড়ে’ গ্র্যানির আতঙ্ক, জলপাইগুড়িতে অসুস্থ বহু]
পুলিশ সুপার আরও জানান, ধারবাহিকভাবে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। তার সুফলই হোক বা সাধারণ মানুষ সচেতন হওয়ার ফলে জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউই মোমো গেম খেলার প্রস্তাব পেলেও সেই চ্যালেঞ্জ নেননি। এটা ভাল লক্ষ্মণ। পুলিশের তরফে বর্ধমানের সিএমএস হাইস্কুল (বিসি রোড)-এ সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সচেতনতা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপার ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) প্রিয়ব্রত রায়, বর্ধমান থানার আইসি তুষারকান্তি কর, সাইবার সেলের ওসি স্নেহাশিস চৌধুরি উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.