Advertisement
Advertisement
Enforcement Directorate)

গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু ইডির, রাডারে একাধিক আধিকারিক

পাচারচক্রের পাণ্ডাদের পাকড়াও করতে এবার তৎপর হয়েছে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Enforcement Directorate launch probe in cattle-coal smuggling SangbadPratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 17, 2020 8:21 am
  • Updated:December 17, 2020 8:21 am  

অর্ণব আইচ: পশ্চিমবঙ্গে গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে এবার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করল ইডি (Enforcement Directorate)। রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেওয়া এই মামলার পাণ্ডাদের পাকড়াও করতে এবার তৎপর হয়েছে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা।

[আরও পড়ুন: দুধ খাওয়ার সময় দম আটকে মৃত্যু শিশুর, কাঠগড়ায় বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল]

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গরু ও কয়লা পাচারের টাকা বিদেশে কারও হাতে গিয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। পরবর্তীকালে ইডির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মামলা দায়ের হতেও পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারের মামলায় অনুপ মাজি ওরফে লালা ও ইসিএল, রেল, সিআইএসএফের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা রুজু করেছে। লালাকে সিবিআই ডেকেও পাঠায়। আয়কর দপ্তর লালার বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি করে টাকা উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচারের তদন্ত শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচার মামলায় এনামুল হক ও বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। এই দুই মামলায় বিপুল পরিমাণ টাকা কাদের হাতে পৌঁছেছে, তা খতিয়ে দেখতে ইডি আধিকারিকরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। কিছু নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে লালাকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতা দেখিয়ে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিল সে। তারপরই তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য ও ভিন রাজ্যে কয়লা পাচার নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এছাড়া, পাচারকারীদের সঙ্গে ইসিএল কর্তাদের সখ্যের একাধিক নমুনা পেয়েছে সিবিআই। ইসিএলের জায়গায় কয়লা পাচারকারীদের বেআইনি মেশিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। গরু পাচারের তদন্তে বিএসএফের সহযোগিতা চেয়েছিল সিবিআই। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে বিএসএফের পোস্টেড কর্মীদের তালিকা পাঠাল সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিএসএফের গ্রেপ্তার হওয়া কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার দায়িত্বে থাকাকালীন মালদহ, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত গরু পাচারের মূল করিডোর ছিল বলে তদন্তে দেখেছে সিবিআই। কিভাবে, কাদের সহযোগিতায় পাচার চলতো তার বহু তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি তদন্তকারীরা সতীশ কুমারের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হদিস পেয়েছে।

[আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেই কাঁকসায় বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর, তুঙ্গে জল্পনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement