Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘নরখাদক’ চিতাবাঘকে বাগে আনতে প্রয়োজনে হত্যার সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের

মাদারিহাটের চা বাগান এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছে ওই চিতাবাঘ৷

Elimination order for Alipuduar leopard
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 30, 2019 3:13 pm
  • Updated:January 30, 2019 3:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ‘নরখাদক’ চিতাবাঘকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল বনদপ্তর৷ রাজ্যে এই প্রথমবার ‘নরখাদক’ হয়ে উঠেছে কোনও চিতাবাঘ৷ অনেক চেষ্টার পরেও তাকে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হয়নি৷ তাই আর তাকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বনদপ্তর৷ বাধ্য হয়েই জীবিত বা মৃত অবস্থায় প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে তাকে অপসরাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

কাঁথির অশান্তিতে রিপোর্ট তলব দিল্লির, ক্ষুব্ধ মমতা

গত দেড় মাসে মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া, গ্যারগেন্ডা, রামঝোরা এবং তুলসিপাড়া চা বাগান এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ৷ হামলার সূত্রপাত গত ১৩ অক্টোবর৷ ওইদিন ধুমচিপাড়া চা বাগানে বছর পাঁচেকের এক শিশুকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চিতাবাঘটি৷ তার আঁচড় কামড়ে গুরুতর জখম হয় শিশুটি৷ দ্বিতীয় হামলা ঘটে ১২ ডিসেম্বর৷ ঘটনাস্থল সেই ধুমচিপাড়া৷ চিতাবাঘটি একটি শিশুকে চা বাগানে টেনে নিয়ে যায়৷ পরের দিন ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় বছর পাঁচেকের শিশুর৷ দিনচারেক কাটতে না কাটতেই আবারও বাঘের হামলার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয় ধুমচিপাড়ায়৷ ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর পরপর দু’দিন এক চা বাগান শ্রমিকের উপর হামলা চালায় চিতাবাঘ৷ ২৩ ডিসেম্বর চিতাবাঘের হামলায় রামঝোরা চা বাগানে আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷ ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর গ্যারগেন্ডা থেকে উদ্ধার হয় দু’টি চিতাবাঘের দেহ৷ বনদপ্তরের দাবি, বিষ মেশানো মাংস খেয়েই মারা গিয়েছে চিতাবাঘ দু’টি৷ ১৫ জানুয়ারি ফের চিতাবাঘের হামলায় মারা যায় একটি শিশু৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ‘নরখাদক’ চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে শিশু ও কিশোর মিলিয়ে মোট তিনজন৷ গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দু’জন৷

Advertisement

বদলাচ্ছে ‘অর্ধেক আকাশ’, কনকাঞ্জলিতে নিয়ম ভাঙলেন নববধূ

পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় চিন্তিত বনদপ্তর৷ ‘নরখাদক’ চিতাবাঘটিকে চিহ্নিত করার পর শুরু হয়েছে তাকে খাঁচাবন্দি করার প্রক্রিয়া৷ এ বিষয়ে মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহার কাছে লিখিত রিপোর্ট পাঠান উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘ওই পুরুষ চিতাবাঘটি আকারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের থেকে ছোট নয়৷ তবে স্বভাবে অত্যন্ত ধূর্ত৷ তাই সে খাঁচার আশেপাশে আসছে না৷ পরিবর্তে ক্রমশই জায়গা বদল করছে৷’’ ‘নরখাদক’ চিতাবাঘের প্রসঙ্গে মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা জানান, ‘‘চা বাগান সংলগ্ন এলাকাগুলিতে এই চিতাবাঘটি এত হামলা চালাচ্ছে যে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই৷ তাই প্রথমে তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা করা হবে৷ সেভাবে ধরা না গেলে খুন করা হবে ‘নরখাদক’কে৷’’ তবে ‘নরখাদক’কে খাঁচাবন্দি করার জন্য বাইরে থেকে কোনও শিকারী আনা হচ্ছে না৷ পরিবর্তে রাজ্যের চারজন শুটারই এই কাজ করবেন৷

অনলাইনে গাড়ি কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার, খোয়া গেল ৫৬ হাজার টাকা

এর আগে একটি দাঁতাল হাতিকে বশে আনার জন্য প্রয়োজনে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু চিতাবাঘের ক্ষেত্রে এ রাজ্যে এটিই প্রথম সিদ্ধান্ত৷ বনদপ্তরের দাবি, হাতিকে ধরা যতটা সহজ, ‘নরখাদক’ চিতাবাঘটিকে বাগে আনা ততটাই কঠিন৷ আপাতত ‘নরখাদক’কে বাগে আনার ভাবনাতেই ঘুম উড়েছে বনকর্মীদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement