সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সকাল, সন্ধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে বনকর্মীদের। গত সাতদিন ধরে এমনটাই ছবি দুর্গাপুরের। একটি হাতিকে এলাকাছাড়া করতেও কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তাদের। হুলাপার্টি থেকে ঘুমপাড়ানি গুলি-কিছুই কিছু না গজরাজের সামনে।
শনিবারই একটি হাতিকে নিয়ে রাত দুটো অবধি ছুটে বেড়িয়েছেন বনদফতরের কর্মীরা। বর্ধমান, নদিয়া ও বাঁকুড়া থেকে হুলাপার্টি এনেও তাকে এলাকাছাড়া করা যায়নি। সন্ধের পর হুলাপার্টির সদস্যরা বহু চেষ্টা করেছিল হাতিটিকে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপারে নিয়ে যাওয়ার। ঘুমপাড়ানি গুলি করেও কোনও কাজ হয়নি। কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞদলও শনিবারই পৌঁছে যায় সেখানে। এই হাতি খেদানো অভিযানে দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার মিলনকান্তি মণ্ডলের সঙ্গে ময়দানে নেমেছেন সিসিএফ কল্যান দাস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শনিবার রাত ২টো নাগাদ হাতিটি মুচিপাড়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ফার্টিলাইজার কারখানায় আশ্রয় নিয়েছে।
হাতির তাণ্ডবে তটস্থ দুর্গাপুর, তিন দিনে মৃত ২
বনদফতর সূত্রে খবর, গত ২৩ জানুয়ারি তিনটি হাতির একটি দল বর্ধমানে ঢুকে পড়ে। বীরভূম, দুমকা ঘুরে দুর্গাপুরে ঢুকে দস্যিপনা শুরু করে তারা। লোকালয় থেকে স্টিলপ্ল্যান্ট-সর্বত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। তিনদিনে হাতির হামলায় মারা গিয়েছেন দু’জন। জখম হয়েছেন আটজন। স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকার মানুষের মধ্যে। যদিও বনকর্তারা জানিয়েছেন, অযথা ভয়ের কিছু নেই। তাদের স্কোয়াড সবরকমভাবে তৈরি।
পাকিস্তানি শিশুকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিল ভারত
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.