Advertisement
Advertisement
জাতীয় সড়কে হাতি

কুয়াশামাখা ভোরে জাতীয় সড়কে দাঁতাল, আতঙ্ক নিয়ে ঘুম ভাঙল স্থানীয় বাসিন্দাদের

আধঘণ্টা ধরে বাঁকুড়ার আমডাঙায় তাণ্ডব চালাল হাতিটি।

Elephant on National Highway in Bankura spreads fear among the residents
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 2, 2020 5:15 pm
  • Updated:March 2, 2020 5:15 pm

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তখনও কুয়াশা কাটেনি। সোনালি আলো-আবছায়া ঘেরা ভোর। ঘুমভাঙা চোখে বাতাসে উড়ে বেড়ানো ছাইয়ের সঙ্গে হালকা শিশির মিশে মায়াময় এক দিন শুরু হচ্ছে সবে। ঘড়ির কাঁটায় পৌনে সাতটা। শহরের মাঝে হঠাৎ দাঁতালের তর্জনগর্জনে ঘুম ভেঙে যায় বাঁকুড়ার আমডাঙার বাসিন্দা তথা ট্রাকচালক ভরত মুদির। ওই আমডাঙা এলাকায় একটি বেসরকারী সিমেন্ট কারখানা সংলগ্ন সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে চালকের কেবিন থেকে উঁকি দিতেই মাঝবয়সি ব্যক্তির চক্ষু ছানাবড়া। দেখতে পেলেন, একটি দাঁতাল জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে হেঁটে আসছে তাঁরই গাড়ির দিকে।

বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার গ্রামাঞ্চলে কখনও দলমার পালের হাতি, কখনও স্থানীয় হাতির দল দাপিয়ে বেড়ায়। কিন্তু একেবারে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় হাতির হানা শেষ কবে হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। বনদপ্তর জানাচ্ছে, গ্রামীণ এলাকায় তাড়া খেয়ে আমডাঙায় ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর উঠে পড়েছিল হাতিটি। আড়মোড়া ভেঙে তখনও দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েননি ওই এলাকায় মালবাহী ট্রাক এবং ধাবায় রাত কাটানো মানুষজন। পথে তেমন লোকজন ছিলেন না। তাই বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সম্প্রীতির নজির, দিল্লির অশান্তির প্রতিবাদে হিন্দুদের সঙ্গে আগাম বসন্ত উৎসবে মাতলেন মুসলিমরাও]

ঘুমভাঙা চোখে বুনো ঐরাবৎ চোখের সামনে দেখে প্রাণভয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করেন মানুষজন। হইহই শুরু করে দেন মানুষজন। আর গজরাজ প্রায় আধঘণ্টা দাপিয়ে বেড়ায় জাতীয় সড়কের উপর। কখনও রাস্তা ধরে এগিয়ে গেল, কখনও আবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পিছু নেওয়া মানুষজনের দিকে তেড়ে গেল সে। মানুষের ভিড় দেখে কখনও শুঁড় দুলিয়ে গজগমন, তো কখনও আবার গম্ভীর মুখে গর্জন করে উৎসুক জনতাকে ধাওয়া। এর জেরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজটও তৈরি হয়। বেলা ১০টা নাগাদ গজরাজ নিজে থেকে জঙ্গলমুখী হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

[আরও পড়ুন: দিঘায় জালে উঠল ৯০০ কেজির চিলশংকর, দানবাকৃতি মাছ দেখতে ভিড় বাজারে]

স্থানীয় হোটেলের কর্মী অজয়শংকর চন্দ বলেন, “প্রায় পাঁচ দশক এখানে আছি। জনবহুল এলাকায় এভাবে বুনো হাতি ঢুকতে দেখিনি।” এলাকারহ যুবক রবি মাজির কথায়, “আমডাঙা এলাকায় রাস্তার দু’ধারে অনেক কলা গাছ থাকলেও, সেসব ছুঁয়েও দেখেনি হাতিটি।” বনদপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বছর কয়েক আগে এভাবেই বাঁকুড়া–দুর্গাপুর রোডে মাঝে মাঝেই একটি স্থানীয় হাতি বেরিয়ে আসত জঙ্গল থেকে। তবে এই হাতিটি কোথা থেকে এল, সে বিষয়ে তাঁরা খোঁজ করবেন বলে খবর।

দেখুন হাতির চালচলন:

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement