টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: জঙ্গলের নয়, জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে হাতি! আতঙ্ক ছড়াল বাঁকুড়ার মেজিয়ার দুর্লভপুরে। শেষপর্যন্ত অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারাই হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠিয়ে দেন। বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ দুর্লভপুরের বাসিন্দারা।
[ রান্নাঘরে চিতাবাঘ! আতঙ্ক ছড়াল ডুয়ার্সের বনবসতিতে]
জঙ্গলমহলের জেলা বাঁকুড়া। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লোকালয়ে হাতির হানা নতুন কিছু নয়। জাতীয় বা রাজ্য সড়কেও চলে আসে দাঁতাল হাতির দল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, জঙ্গল লাগোয়া বাঁকুড়ার মেজিয়া শিল্পাঞ্চলে গত কয়েক বছর হাতির আনাগোনা বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সাতসকালে হাতি দেখে আতঙ্ক যেমন ছড়িয়েছে, তেমনি বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মেজিয়ার দুর্লভপুরের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে একটি দলছুট হাতি। মেজিয়ার দুর্লভপুরে জাতীয় সড়কে দুলকি চালে হাঁটছিল গজরাজ। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হাতি তাড়ানোর জন্য বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাসিন্দারা। কিন্তু খবর দেওয়ার পরও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত হাতিটিকে জঙ্গলকে ফেরত পাঠান দুর্লভপুরের বাসিন্দারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবারও যথারীতি নিজেদের ওয়েব পোর্টালে জেলায় হাতিদের অবস্থান উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে বাঁকুড়া জেলা বনদপ্তর। জানানো হয়েছে, বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের গঙ্গাজলঘাটিতে ২টি, বড়জোড়ায় ৩০ থেকে ৩৪ টি, খাগ ও বৃন্দাবনপুর এলাকায় ৪টি এবং বিষ্ণুপুর বনবিভাগের আমডাংরা বিটের বাঁকাদহ রেঞ্জের দৌনি মৌজায় ৩টি-সহ মোট ৪৩টি বুনো হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেলায়। হাতির হামলায় ফসলে ক্ষতি হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু খবর পাওয়া সত্ত্বেও কেন দুর্লভপুরে হাতি তাড়া গেলেন না বনদপ্তরের কর্মীরা? সদুত্তর মেলেনি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.