ছবি প্রতীকী
সম্যক খান, মেদিনীপুর: হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার অন্তর্গত কনকাবতী এলাকায়। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় রানা(২৮)। বাড়ি ওই গ্রামেই।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত প্রায় একটা নাগাদ কনকাবতী পঞ্চায়েত অফিসের কাছাকাছি ছিলেন ওই যুবক। চাঁদভুঁইয়াশোল মৌজায় তাঁর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। রাত একটার সময় সঞ্জয় ওই জায়গায় কেন গিয়েছিল? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে সঞ্জয়ের বুকের উপর হাতিটি পা চাপিয়ে দিয়েছে। যার ফলে মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত বের হতে থাকে তাঁর।
[দুই নাবালিকাকে বলি দিলেই মিলবে গুপ্তধন! কীভাবে ভেস্তে গেল ছক?]
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দলমা থেকে আসা প্রায় পঞ্চাশটি হাতির একটি বড় দল এই মুহূর্তে আছে লালগড় এলাকায়। সেখান থেকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বেরিয়ে আসছে এক-একটি ছোট দল। কনকাবতী এলাকায় সেই দলেরই তিনটি হাতি ঢুকেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনটি হাতির পায়ের ছাপও পাওয়া গিয়েছে। তারা এখন চাঁদড়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।
ডিএফও রবীন্দ্রনাথবাবু বলেছেন, ওই হাতিগুলিকে লালগড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি সতর্ক করা হচ্ছে গ্রামবাসীদেরও। কিন্তু বনদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করেও রাতবিরেতে অনেকে বেরিয়ে পড়ছেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। বেরিয়েছিলেন সঞ্জয় রানাও। যার মূল্য তাঁকে নিজের প্রাণ দিয়ে চোকাতে হল।
[রান্না হোক কিংবা অক্টোপ্যাড বাজানো, দুই পায়েই অনন্যা তমুলকের পার্বতী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.