সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ফের ঝাড়গ্রামের রাজ্য সড়কে তাণ্ডব চালাল দাঁতালের দল। এলোমেলোভাবে ছোটাছুটির পর রাস্তার পাশে রাখা একটি বাইক শুঁড়ে জড়িয়ে আছড়ে মাটিতে ফেলল একটি দাঁতাল। রাস্তার উপর গজরাজের এমন তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী৷ অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একাধিক জমির ফসল তছনছ করে দিচ্ছে দাঁতালের দল। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর বেড়েছে আতঙ্ক৷
[আরও পড়ুন: ‘কোরান-গীতা-বাইবেল পড়েছি, ভেদাভেদ মানি না’, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বার্তা নুসরতের]
রাজ্য সড়কের উপর হাতির পারাপার বা রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পন্যবাহী গাড়িতে শুঁড় গলিয়ে খাদ্যের খোঁজ করা এ সবই এখন নিত্যদিনের ব্যাপার। তবে শুক্রবার দাঁতালের অন্য চেহারা দেখল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন চারটি হাতি জিতুশোল, শালবনি এলাকায় গুরুত্বপূর্ন রাজ্য সড়কে চলে আসে। দাঁতাল বাহিনী দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তা থেকে সরে পড়েন সকলেই। বেশ কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য সড়কে। সেই সময় রাস্তার পাশে একটি বাইক রাখা ছিল। অভিযোগ, একটি দাঁতাল ছুটে এসে বাইকটি শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় দেয়। এরপর ৪ টি দাঁতালই পাশের জঙ্গলে চলে যায়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতটি হাতি ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে ওই এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেও এলাকার একটি চাল কলে ঢুকে রাতভর তাণ্ডব চালায় দাঁতালের দল। জামবনি ব্লকের
টুলিবর, কুড়ারিয়া, বামুনডিহা, ভাতুর, সোনামুখি-সহ বিস্তীর্ণ গ্রামগুলিতে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ টি হাতি ঢুকে ফসল তছনছ করে দিচ্ছে। রাত হলেই হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে জমিতে। আর ভোরের আলো ফুটতেই জঙ্গলে ফিরে যাচ্ছে দাঁতালের পাল।ফলে হাত পড়ছে কৃষকদের মাথায়। বনদপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দলমা রেঞ্জের চোদ্দটি হাতিকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। তবে আরও কয়েকটি হাতি জামবনির বিভিন্ন জঙ্গলে রয়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বলেন, “শালবনী, জিতুশোলের বিভিন্ন জঙ্গলে সাতটি লোনার হাতি রয়েছে। সেগুলিই রাজ্য সড়ক পরাপার করছে। আমরা নজর রাখছি যাতে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। ” পাশাপাশি, তিনি বলেন, হাতির জন্য কৃষকদের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বনদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা প্রত্যেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আর্থিক ক্ষতি না হয় মিটিয়ে দেবে সরকার, কিন্তু আতঙ্কের কী হবে? তার কোনও উত্তর নেই৷
দেখুন ভিডিও:
ছবি: প্রতিম মৈত্র
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.