অরূপ বসাক, মালবাজার: গভীর রাতে বুনো হাতির তাণ্ডব। ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ পাঁচটি পাকাবাড়ি। আতঙ্কিত মালবাজারের নাগরাকাটা ব্লকের চা-শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হাতির তাণ্ডব চলে নাগরাকাটার ভরতপুর চা বাগানে।
[ডুয়ার্সের রায়ডাক চা-বাগানে ঢুকে পড়ল চিতা, গুরুতর জখম ২]
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো বটেই, ডুয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণ চা-বাগান। পাহাড়ের ঢালে সারি সারি চা গাছ মুগ্ধ করে পর্যটকদের। কিন্তু, চা বাগানে বিপদও কম নয়। ডুয়ার্সের বেশিরভাগ চা বাগানই একেবারেই জঙ্গল লাগোয়া। মাঝেমধ্যেই নদী পেরিয়ে জঙ্গলের জন্তুরা,বিশেষ করে হাতি ঢুকে পড়ে চা বাগানে। ক্ষতির মুখে পড়েন শ্রমিকরা। ঠিক যেমনটা ঘটল বৃহস্পতিবার রাতে। নাগরাকাটার ভরতপুর চা বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ জলঢাকা নদী পেরিয়ে চা বাগানের চাদরলাইন এলাকায় ঢুকেছিল একটি দাঁতাল হাতি। তখন আবার মুষলঘধারায় বৃষ্টি পড়ছিল। তাই প্রথমে কেউ কিছু টের পাননি। প্রথমে ধীরজ সাঁওতাল নামে এক চা-শ্রমিকের পাকা বাড়ি ভেঙে দেয় হাতিটি। তিনিই অন্য শ্রমিকদের ঘুম থেকে তোলেন। কিন্তু, বৃষ্টির রাতে হাতি তাড়ানোর সাহস পাননি চা-শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, কার্যত বিনা বাধায় এক ঘণ্টা ধরে ভরতপুর চা বাগানে তাণ্ডব চালায় দাঁতালটি। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ-পাঁচটি পাকাবাড়ি। চা-বাগানের ভিতরে একফালি ফাঁকা জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষ করেছিলেন চা-শ্রমিকরা। সেই ফসলও নষ্ট করেছে হাতি। রাত দেড়টা নাগাদ যে পথে এসেছিল, সেই পথেই ফের জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটি। হাঁফ ছেড়েন বাঁচেন নাগরাকাটার ভরতপুর চা বাগানের শ্রমিকরা। মাস খানেক আগে আলিপুরদুয়ারের রায়ডাক চা বাগানে ঢুকে পড়েছিল একটি চিতাবাঘ। খুব ভোরে চিতা বাঘের হামলার মুখে পড়েছিল ২ জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হন দু’জনেই।
[নিয়্ন্ত্রণ হারিয়ে চা বাগানের শ্রমিক আবাসনে ঢুকে পড়ল বাস, মৃত এক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.