ছবি প্রতীকী
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: যৌনজীবন অভিশপ্ত। স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ট মুহূর্তে মৃত্যু অনিবার্য। জানতেন পাণ্ডব কুলপতি পুরু। কিন্তু, স্ত্রী মাদ্রীর রূপে এতটাই মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, নিজেকে আর সামলাতে পারেননি তিনি। ফল যা হওয়ার, তাই হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে সহমরণে গিয়েছিলেন মাদ্রীও। বাস্তবে তেমনই ঘটল জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সে। রাতের অন্ধকারে দেখা করতে গিয়ে প্রাণ গেল প্রেমিক যুগলের। শুক্রবার ভোরে গয়েরকাটা চা বাগানে মিলল তাঁদের দেহ।
[মালবাজারে হাতির হানায় মৃত মহিলা, ছড়াল আতঙ্ক]
পাহাড় জঙ্গলে সুন্দরী ডুয়ার্স। পাহাড়ের ঢালে চা বাগানে সৌন্দর্য্যেও মুগ্ধ হতে হয়। কিন্তু, সেই চা বাগানের আবার ওত পেতে থাকে বিপদও। ডুয়ার্সের বেশিরভাগ চা বাগানের পাশে ঘন জঙ্গল। রাত-বিরেতে নদী পেরিয়ে চা-বাগানে ঢুকে পড়ে হাতি, চিতাবাঘের মতো বন্যজন্তুরা। সেকথা ভালই জানতে গয়েরকাটা চা বাগানের শ্রমিক কারমা মিন। কিন্তু, একান্তে প্রেমিকার সঙ্গে দেখার করার ইচ্ছাও যে প্রবল! শেষপর্যন্ত, রাতের অন্ধকারে চা বাগানে অফিস ঘরে ঢুকে প্রাণ গেল প্রেমিক-প্রেমিকার।
ঘটনা ঠিক কী? ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কালমার সঙ্গে এক মহিলার বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার শেষ রাতে চা বাগানের অফিস ঘরে দেখা করতে গিয়েছিলেন কালমা ও তাঁর প্রেমিকা। কিন্তু অফিস ঘরে যে হাতি ঢুকেছে, তা টের পাননি তাঁরা। দু’জনকেই শুড় দিয়ে তুলে আছাড় মারে হাতিটি। ঘটনাস্থলে মারা যান কালমা ও তাঁর প্রেমিকা। শুক্রবার খুব ভোরে গয়েকাটা চা বাগানে দু’জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের অন্য শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, মৃতদেহের পাশে হাতির পায়ে ছাপও ছিল। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। দিন কয়েক আগে ডুয়ার্সের মালবাজারের নাগরাকাটায় হাতির হানা মৃত্যু হয় এক মহিলার। গুরুতর আহত হয় মৃতার নাতনিও। হাতির হামলার আতঙ্ক ছড়িয়েছিল নাগরাকাটার উত্তর ধুমপাড়ায়।
[মেলায় কি ঢুকছে জঙ্গিরা? ট্রেনে বসেই নজরদারি কোকো-জোজো-জাভার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.