টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: লকডাউনে হাতে কাজ নেই। সময় কাটাতে আবিষ্কারের নেশায় মত্ত ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি। আর সেই নেশায় মেতেই আবিষ্কার করে ফেলেন স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার যন্ত্র। বাঁকুড়া শহরের বিপুল কুণ্ডুর এই কীর্তির খবর রীতিমতো গোটা জেলায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। তুঙ্গে উঠেছে চাহিদাও। ফলে এই যন্ত্র তৈরি করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।
বাঁকুড়া শহরের লালবাজারে বাসিন্দা বিপুল কুণ্ডু পেশায় ইলেক্ট্রনিক মিস্ত্রি। তিনি ওজোন যন্ত্রের মেরামতি করেন। লকডাউনে সে কাজ প্রায় বন্ধ। তাই বাড়িতে বসেই কাটছিল অখন্ড অবসর। এমন অবসরকেই কাজে লাগিয়েছেন বিপুলবাবু। প্রায় ৪৫ দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে তিনি আবিস্কার করে ফেলেছেন স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজিং যন্ত্র। হাতের কাছে সুলভে পাওয়া সরঞ্জাম দিয়ে আপাতত দুটি যন্ত্র তৈরি করেছেন বিপুলবাবু।
একটি যন্ত্রের সামনে হাত পাতলেই স্প্রে আকারে বেরিয়ে আসবে জীবানুমুক্ত করার বিশেষ দ্রবণ। অন্যটি থেকে ফোঁটা ফোঁটা বেরিয়ে আসবে স্যানিটাইজার। প্রথমটি যন্ত্রটি তৈরি করতে খরচ পড়ছে প্রায় তিন হাজার টাকা। অন্যটি আড়াই হাজার টাকা। করোনা মোকাবিলায় যখন ত্রস্ত গোটা জেলা তখন বিপুল কুণ্ডুর এই নয়া আবিস্কার রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে জেলা জুড়ে। আসলে স্যানিটাইজার এখনও নিত্য নৈমিত্তিক জীবনের অঙ্গ। ফলে অফিস থেকে বাড়ি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সর্বত্রই স্যানিটাইজারের চাহিদা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে অল্প খরচে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের চাহিদা যে থাকবেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিপুলবাবু কথায়, “ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বরাত মিলতে শুরু করেছে।” বাজারে চাহিদা দেখে যন্ত্র দুটিকে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন আবিস্কারক নিজেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.