সুব্রত বিশ্বাস: লকডাউনে বিদ্যূতিকরণের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী মোট ৭১ কিলোমিটার বিদ্যূতিকরণের কাজ শেষের পর শনিবার তা খতিয়ে দেখবেন রেলের সেফটি কমিশনার। ছাড়পত্র পাওয়ার পর রেল চলাচল শুরু হলে ওই শাখার যাত্রীরা চড়তে পারবেন ইলেক্ট্রিক ট্রেনে। আদ্রা ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎচালিত ট্রেনে কম সময়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
এক সময় এই শাখাটি ছিল ন্যারো গেজের। বাঁকুড়া-দামোদর রেল (বিডিআর) তখন এতটাই অসুবিধার ছিল যে যাত্রীরা এই বিডিআরকে বলতেন, বড় দুঃখের রেল। তৎকালীন বাঁকুড়ার সাংসদ ও রেলের বহু বছরের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়ার তৎপরতায় ১৯৯৮ সালে তা ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়।
বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী ২০০৫ ও সোনামুখী থেকে রাইনগর ২০০৮ সালে যাত্রীদের জন্য ব্রডগেজ লাইন খুলে দেওয়া হয়। ওই শাখা বর্ধমানের মশাগ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। বাঁকুড়া-মশাগ্রামের ১১৮ কিলোমিটার বিদ্যূতিকরনের কাজের জন্য ২০৬.৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সোনামুখী পর্যন্ত বিদ্যূতিকরণ হয়ে গিয়েছে।
মশাগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চললে মাঝে সাহানপুর রোড থেকে আরামবাগ-শেওড়াফুলি শাখা যুক্ত হবে। ফলে কামারপুকুর, জয়রামবাটির মতো পর্যটনস্থলগুলির সঙ্গে বাঁকুড়া যুক্ত হবে। বাওয়াইচন্ডী থেকে খান-বর্ধমান শাখা যুক্ত হবে। ফলে রেলে যাতায়াতের জন্য বিশেষ সুবিধা হবে। বাণিজ্য, শিক্ষা, ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ লাভবান হবেন মানুষজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.