Advertisement
Advertisement
Electricity distribution board

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ‘দাদাগিরি’! বিল মেটানোর পরও বিচ্ছিন্ন সংযোগ, অভিযোগকারী শিক্ষককে ‘হুমকি’

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষকের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্ষদের।

Electricity distribution board Alleged of disconnecting electricity even after paying the bill | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 6, 2020 6:30 pm
  • Updated:October 6, 2020 6:30 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের দ্বারা হেনস্তার শিকার এক প্রবীন শিক্ষক। অভিযোগ, পুরো বিল মিটিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয় তাঁর বাড়ির। শেষে ট্রোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে সংযোগ পান দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের বাসিন্দা ও কুলডিহা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক নিহার বিশ্বাস। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা শিক্ষকের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্ষদের।

জানা গিয়েছে, গত ২৯ জুন থেকে ১২ দিনের মধ্যে ৪৪ হাজার ১০১ টাকা বিল জমা দেন নিহারবাবু। ১৪ জুলাই সম্পূর্ণ বিল জমা করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগও বন্টন পর্ষদে জমা দেন নিহারবাবু। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর মিটার দেখতে এসে বিদ্যুৎদপ্তরের এক কর্মী জানান, মিটার খারাপ। অভিযোগ এরপরও মিটার বদল না করে ৩ অক্টোবর ফের রিডিং নিতে আসেন অন্য এক কর্মী। তাঁকে মিটার খারাপ আছে বলতেই তিনি দুর্ব্যবহার করেন নিহারবাবুর সঙ্গে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভোট লুঠ করতে এলে কাউকে হেঁটে ফিরতে দেবেন না’, ফের আক্রমণাত্মক দিলীপ]

এরপর ক্ষুব্ধ নিহারবাবু তাঁকে মিটার দেখতেই দেননি। পরে ৫ অক্টোবর নিহারবাবুকে ফোন করেন পর্ষদের স্টেশন ম্যানেজার রাজেন নন্দী। ফোনে তাঁকে মিটার দেখানোর জন্যে চাপ দিয়ে উচিত ‘শিক্ষা’ দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ প্রবীন শিক্ষকের। ওই দিনই বিকেলে বিদ্যুৎদপ্তরের জনা দশেক কর্মী গিয়ে মিটার দেখার ছলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে অভিযোগ নিহারবাবুর। এবিষয়ে পর্ষদ অফিসে যোগাযোগ করেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে পুলিশের দারস্থ হন তিনি।

পুলিশের পরামর্শেই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করার পর রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় পর্ষদ। বিল দিয়েও প্রায় ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না নিহারবাবুর বাড়ির। এই বিষয়ে মহকুমাশাসক, মেয়র
ও বিদ্যুৎবন্টন পর্ষদের উচ্চ আধিকারিকদের লিখিত অভিযোগও করেন ওই শিক্ষক। অভিযোগ সম্পর্কে রাজেনবাবু বলেন, “আমরা সংযোগ কাটিনি। কোনও কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। পরে দেওয়া হয়েছে। উনি আমাদের কর্মীদের সঙ্গে ব্যাবহার ঠিক করেননি। আমরা আইনের দারস্থ হব।”

[আরও পড়ুন: ব্রাত্য আঞ্চলিক ভাষা! লিলুয়ায় রেলের ওয়ার্কশপের সাইনবোর্ড থেকে সরল বাংলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement