ছবি: প্রতীকী
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: ভোটের ডিউটি করা সত্ত্বেও প্রায় ৬০ জন ভোটকর্মীকে শোকজ করল প্রশাসন। ভোটের কাজে অনুপস্থিত ৩০০ জনকেও শোকজ করল তেহট্ট-১ ব্লক প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ব্লক অফিসে শোকজের উত্তর দিতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভোটের ডিউটি করা ওই ভোটকর্মীরা।
সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভোটকর্মী হিসেবে নিযুক্ত করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে তাঁদের দু’দিন ভোট কীভাবে নিতে হয় বা ভোটকেন্দ্রে কীরকম আচরণ করতে হয় সেনিয়ে ট্রেনিং হয়। এরপর ভোটের আগের দিন ডিসিআরসি কেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিত হতে হয়। সেখান থেকে সেই ভোটকর্মীরা তাঁদের নিজস্ব ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যান। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিসিআরসি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য অনেক কর্মী উপস্থিত হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের কারণ দর্শাতে বলা হয়। কেন তাঁরা উপস্থিত হননি? এবার সেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে গিয়ে এমন প্রায় ৬০ জন ভোটকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে, যারা ভোটকর্মী হিসাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছে।
এদিন তেহট্ট -১ ব্লক অফিসে সেই সব ভোটকর্মী শোকজের উত্তর দিতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, ডিউটি করার পরেও কেন তাঁদের শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। তেহট্ট নতুন চক্রের পলশন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কৌশিক সরকার বলেন, “আমাদের চক্রের মোট ২৯ জনকে এভাবে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শিক্ষক ২৭ জন আর দুজন স্কুল পরিদর্শক অফিসের কর্মী। আমরা ভোটের ডিউটি করেছি। তারপরেও কেন শোকজ নোটিশ দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।” একই কথা বলেন করিমপুর চক্রের সুদীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “এভাবে আমাদের চক্রের ১৯জনকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে।” করিমপুর নতুন চক্রের ১২ জনকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই চক্রের শিক্ষক পুরুষোত্তম বিশ্বাস।
যারা ভোটের ডিউটিতে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রায় ৩০০ জনকে শোকজ করে ব্লক প্রশাসন। অনুপস্থিতির কারণ দেখান। অনেকেই নিজেকে রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী বলে ভোটের ডিউটিতে অনুপস্থিত ছিলেন বলেন জানান। আবার অনেকে নিজের বা পারিবারিক অসুস্থতার কথা বলেন।
এবিষয়ে তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, “যারা ডিউটি করেছেন অথচ শোকজ নোটিস পেয়েছেন তা ভুলবশত হয়েছে। আর ভোটের দিন ভোটকর্মীরা অনুপস্থিত থাকায় আমাদের ভোটকেন্দ্রে ভোট কর্মী পাঠাতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই কারনে তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। উত্তর দেখে পরিবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.