Advertisement
Advertisement

রাজ্যের সাত পুরসভার ভোটে বিক্ষিপ্ত গোলমাল, অভিযোগ শাসকের বিরুদ্ধে

দুর্যোগে ভোট ব্যাহত বুনিয়াদপুর, ধুপগুড়িতে।

 Election held in 7 municipality of West Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 13, 2017 4:23 am
  • Updated:August 13, 2017 4:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের সাত পুরসভার ভোট ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরনিগম, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও হলদিয়া, নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প, বীরভূমের নলহাটি, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে। তবে বিরোধীরা প্রায় প্রতিটি জায়গায় শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে। পাশাপাশি বিরোধী প্রার্থীকে মারধর এবং অপহরণের অভিযোগও সামনে এসেছে। সাতটি পুরসভার মধ্যে ছটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার প্রথম নির্বাচন হচ্ছে বুনিয়াদপুরে। কোথায় এমন ভোট হচ্ছে তার আপডেট রইল।

[চোটের ধাক্কায় শেষ দৌড়ে ছন্দপতন, ট্র্যাককে বিদায় বোল্টের]

হলদিয়া:

Advertisement

পুর নির্বাচন ঘিরে সবথেকে বেশি অভিযোগ এই শিল্পশহরে। হলদিয়ায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চিন্ময় হাজরাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ভয়ে ঘরছাড়া প্রার্থী। পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুথের বাইরে বাইক বাহিনীর দাপট দেখা গিয়েছে। সকাল সকাল ভোট দেন পুর এলাকার হেভিওয়েট ভোটার তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধীদের অভিযোগ তিনি গুরুত্ব দিতে চাননি। পরিবহণমন্ত্রীর দাবি বিরোধীদের ময়দানেই দেখা যায়নি। এসব অভিযোগ তাদের  পুরনো অভ্যাস।

দুর্গাপুর:

দুর্গাপুর পুরনিগমের ৪৩টি ওয়ার্ড ভোট। বিরোধীদের দাবি সকাল থেকে অধিকাংশ ওয়ার্ডে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা যায়। তারা ভোটারদের প্রভাবিত করে। দুর্গাপুরের কয়েকটি ওয়ার্ডে বিরোধী এজেন্টদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরে একটি ওয়ার্ডে পতাকা ছেড়া নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএম একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। প্রার্থীরা বাধা দেওয়ায় দুর্গাপুরের লড়াই থেকে সরে যেতে পারে বামেরা। তবে দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে অবশ্য রাজনৈতিক সম্প্রীতির ছবি। একসঙ্গে বুথ অফিস খুলে বসে তৃণমূল, বাম এবং বিজেপি।

কুপার্স ক্যাম্প:

নদিয়ার এই পুরসভাতেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি। কুপার্স ক্যাম্পে সকাল থেকে নিখোঁজ ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট বাবাই বিশ্বাস। রানাঘাটের দাপুটে নেতা শঙ্কর সিং তৃণমূলে চলে আসায় এই পুরসভা নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত শাসক দল।

বুনিয়াদপুর:

দক্ষিণ দিনাজপুরের এই জেলা শহরে এবারই প্রথমবার পুরভোট। নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। শিশু কোলে নিয়ে ছাতা মাথায় নিয়ে ভোটের লাইনে দেখা যায় অনেক মহিলাকে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বয়স্ক এবং নতুন ভোটারদের কৌতুহল ছিল তুঙ্গে। তবে বুনিয়াদপুরে অশান্তির খবর মিলেছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও পুলিশের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। খবর সংগ্রহে গেলে বাধা দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমকে।

[ডোকলামের দখল পেতে চিনের হাতিয়ার ‘থ্রি ওয়ারফেয়ার স্ট্র্যাটেজি’]

 পাঁশকুড়া:

পূর্ব মেদিনীপুরের এই পুরসভায় গোলমালের খবর মিলেছে। পাঁশকুড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। পাঁশকুড়ার রানিহাটিতে নির্দলের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর বচসা বাধে।

নলহাটি:

বীরভূম জেলার এই পুরসভায় বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল। নলহাটির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর মধ্যে বচসা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। একটি ওয়ার্ডে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান শাসক দলের কর্মীরা।

ধুপগুড়ি:

জলপাইগুড়ির এই পুরসভায় বৃষ্টির জন্য ভোট ব্যাহত। দুটি ওয়ার্ডের ছটি বুথে ভোট স্থগিত। ধুপগুড়িতে ভোটের হার বেশ কম।

তবে প্রথম দু ঘণ্টায় ভোটের গতিপ্রকৃতি কী তা জানাতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের একাধিক অভিযোগ থাকলেও কমিশন কোনও প্রতিক্রয়া জানায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement