Advertisement
Advertisement
নির্বাচন

ভোটের সময় আঙুলে কালি লাগানোর নিয়মে বড়সড় বদল আনল কমিশন

জেনে নিন কী পরিবর্তন হল।

Election Commission select the fingers for voter ink

ছবি: প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 4, 2019 12:52 pm
  • Updated:May 4, 2019 12:52 pm  

শুভঙ্কর বসু: লোকসভার জন্য তর্জনী। আর বিধানসভার জন্য মধ্যমা। ভোটদানের আগে কালি মাখাতে এবার ভোটারদের আঙুল নির্দিষ্ট করে দিল নির্বাচন কমিশন।

এবার রাজ্যের আট বিধায়ক লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচন পূর্বেই সেইসব বিধায়ক শূন্য আসনে ভোট সেরে ফেলছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ এইসব বিধানসভা কেন্দ্রে দু’বার ভোট দেবে মানুষ। একবার লোকসভায় আর একবার বিধানসভায়। সেক্ষেত্রে ভোটারের কোন আঙুলে কালি দিতে হবে তা নিয়ে ধন্দে পড়েছিলেন ভোটকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানতে চেয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্বাচন সেল কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। সেই চিঠির উত্তরে কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ভোটারের বাঁ-হাতের তর্জনীতে কালি মাখাতে হবে। আর বিধানসভা ভোটের জন্য কালি মাখাতে হবে ভোটারের বাঁ-হাতের মধ্যমায়।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘জোট না হলেও নেত্রী হিসেবে মমতাকে শ্রদ্ধা করি’, সুর নরম প্রিয়াঙ্কার ]

আগামী ৬ তারিখ সোমবার লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা ভোট রয়েছে উলুবেড়িয়া পূর্ব এবং ভাটপাড়া বিধানসভা আসনে। অর্থাৎ এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ একসঙ্গে দু’টি ভোট দেবেন। শুধু তাই নয়, আগামী ১৯ মে উপ-নির্বাচন রয়েছে দার্জিলিং, ইসলামপুর এবং হবিবপুর বিধানসভা আসনে। ২০ তারিখ ভোট হবে নওদা ও কান্দি বিধানসভায়। এই সব আসনে ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোট হয়েছে। ভোটাররা একপ্রস্থ আঙুলে কালি মেখে ফেলেছেন। তাই ভোটারের হাতে কালি মাখানো নিয়ে যাতে কোনও জটিলতা তৈরি না হয় সেটাই স্পষ্ট করে দিল কমিশন।

এক জন ভোটার ভোট দিয়েছেন কিনা তা বোঝা যায় আঙুলের কালির ছাপে। ১৯৬২ সাল থেকে ভারতবর্ষের নির্বাচনে এই কালি ব্যবহার হয়ে আসছে। ভোটের কালি সরবরাহের জন্য সে সময় আইনমন্ত্রক, ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি ও ন্যাশনাল রিসার্চ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন যৌথভাবে মাইশোর পেইন্টস নামক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। তখন থেকে ভোটের কালি জোগান দিয়ে আসছে কর্ণাটকের এই কোম্পানিটি। এই কালিই আপাতত ভোটাদানের ‘প্রতীক’ হয়ে রয়েছে। হাতে লাগানোর পর সেটি সহজে যাতে উঠে না যায় সেজন্য এই বিশেষ কালিতে সিলভার নাইট্রেটের মতো রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। যেটি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়া করে আঙুলে দেওয়া মাত্রই গাঢ় হয়ে যায়। সহজে মুছে ফেলা যায় না। তবে এবারের নির্বাচনে কালির মান নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন ভোটাররা। তাদের দাবি, নেলপলিশ রিমুভার দিয়ে সহজেই উঠে যাচ্ছে ভোটের কালি। এনিয়ে টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করেছেন ভোটাররা।

[ আরও পড়ুন: ‘সেনা কারও ব্যক্তিগত নয়, বাহিনীকে অপমান করেছেন মোদি’, আক্রমণ রাহুলের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement