দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণতন্ত্রের উৎসব। আর সেই উৎসবে শামিল ঢাকিরাও। তাঁদের ঢাকের বোল মনে করিয়ে দিচ্ছে অকাল উৎসবকে। সেই আবহেই ভোটারদের সচেতনতার পাঠ দেওয়া শুরু হল সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে দ্বীপে ও ঘাটে।
নির্বাচন কমিশন এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকাল থেকে গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন নদীর ঘাটে ঘাটে দু’টি জলযান নিয়ে চলছে প্রচার। সেই জলযানে রাখা হয়েছে ভিভিপ্যাট, ইভিএম-সহ ভোটের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সামগ্রী। তার মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে কীভাবে ভোট দিতে হবে। জলযানে উঠে পড়া ঢাকিরা ঢাক বাজিয়ে গ্রামের মানুষকে জড়ো করছেন। সেখানে আসা মানুষদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা জলযানে। সেখানে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকার ভোটারদের শেখাচ্ছেন, কীভাবে ভিভিপ্যাটে ভোট দিতে হয়। ভিভিপ্যাটে ভোট দেওয়ার পর দেখা যাবে, কোন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হয়েছে, তাঁর প্রতীক কী – সবটাই৷ বোঝানো হচ্ছে, কিছুক্ষণ সেই তথ্য মেশিনের স্ক্রিনে থাকার পর তা নিজে থেকেই মেশিন থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ভিভিপ্যাট নিজের মতামত প্রকাশের জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি মাধ্যম, তা বোঝানো হয় ব্যবহারকারীদের।
অন্যদিকে, ব্যবহারকারীরা বুঝে নেন এই মেশিনে ভোট দেওয়ার সুবিধা,অসুবিধাও। এদিন এই ভোটযন্ত্র গ্রামবাসীদের দেখানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সাগর চক্রবর্তী, ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক অদিতি চৌধুরী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এ বিষয়ে ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক বলেন, “সুন্দরবনের মতো একটি দুর্গম এলাকার মানুষকে ভোট সম্পর্কে এবং ভিভিপ্যাট সম্পর্কে বোঝানোর জন্য এই উদ্যোগ। ভোট হল গণতন্ত্রের মহান উৎসব। যেখানে সব মানুষের অংশগ্রহণ থাকে।” এদিন ভিভিপ্যাটে ভোটের আগে ভোটযন্ত্র দেখা ও তাতে নিজের সুনির্দিষ্ট মত প্রকাশ করার সুযোগ পান বিভিন্ন মানুষ। তবে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.