বিক্রম রায়, কোচবিহার: ফাঁকা বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে তালা বন্ধ করে বেরিয়ে যেতেন ছেলে ও বউমা। বাড়িতে আচমকা আগুন লেগে যাওয়ায় সব ওলোটপালট হয়ে গেল।অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর ছেলে ও বউমাকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহরে।
[ রুটি ব্যাংকের একশো দিন, বিরিয়ানি খেলেন স্টেশনের ভবঘুরেরা]
কোচবিহার শহরের নিউ কদমতলা এলাকায় ছেলে ও বউমার সঙ্গে থাকেন নব্বই পেরোনো সাধনা রায়। তাঁর ছেলে ও বউমা দু’জনেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তুফানগঞ্জে তাঁদের আরও একটি বাড়ি আছে। সাধনাদেবীর দুই নাতি সেখানে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যখনই বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ত, তখন ফাঁকা বাড়িতে ওই বৃদ্ধাকে তালাবন্ধ করে বেরিয়ে যেতেন তাঁর ছেলে উদয়শংকর ও বউমা নারায়ণী। প্রায় রোজই বাড়িতে একা থাকতে হত সাধনাদেবীকে। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, তালাবন্ধ বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছে।দমকল ও পুলিশে খবর দেন তাঁরা। দরজার তালা ভেঙে অশীতিপর ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের অনেকটা ্অংশ পুড়ে গিয়েছে। সাধনা রায়ের শারীরিক অবস্থা গুরুতর।
এদিকে এই ঘটনার পর সাধনাদেবীর ছেলে উদয়শংকর ও তাঁর স্ত্রী নারায়ণীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূর সাফাই, প্রতিদিন ফাঁকা বাড়িতে শাশুড়িকে তালাবন্ধ করে রাখা হয় না। তাঁর স্বামী তুফানগঞ্জের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরার আসার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পনেরো বছর আগে মারা যান সাধনা রায়ের স্বামী। বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না তিনি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ফাঁকা বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে বসতে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। মোমবাতি থেকেই কোনওভাবে বাড়িতে আগুন লেগে যায়।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
[ মন্দির সংস্কার, তারাপীঠে দেবীর বিগ্রহ সরল পাশের শিবমন্দিরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.