Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেমারিতে প্ল্যাটফর্ম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ, আরপিএফের ভূমিকায় প্রশ্ন

এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

Elderly woman kidnapped from station, allegedly physically assaulted at Memari
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 18, 2020 8:24 pm
  • Updated:June 18, 2020 8:24 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দুই বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন। ২০১৮ সালে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে বৃদ্ধাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এবারও সেই একই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। এবার ঘটনাস্থল মেমারি স্টেশন। দিন দশেক আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও এবং বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেও রেল পুলিশ বা আরপিএফ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একটি সংস্থা এগিয়ে এসে ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছে। তারাই বৃহস্পতিবার ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে মেমারি স্টেশন থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ঘটনায় ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এদিন রাত পর্যন্ত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পারেনি রেল পুলিশ।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিক একইভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। তাঁকেও অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে থেকে খাবার দেওয়ার নাম করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে রক্তাক্ত অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে যায় ধর্ষকরা। সহৃদয় কয়েকজনের চেষ্টায় ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার এখনও অভিযুক্তরা অধরা। সেই একই কায়দায় গত ৬ জুন রাতে মেমারি স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ধর্ষণ করা হয় বৃদ্ধাকে। স্টেশনে চাদরমুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। আচমকা কেউ এসে তাঁর চাদর সরিয়ে দেয়। তারপর তাঁর মুখ চেপে ধরে। তারপর তাঁকে টানতে টানতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্ল্যাটফর্মের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে ওই বৃদ্ধা অভিযোগ করেছেন। পরদিন সকালে মহিলা সেখান থেকে উঠে আসেন।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: সোয়াব টেস্টের পরও কর্মসূচিতে যোগদান! সমালোচনার মুখে করোনা আক্রান্ত বিজেপি নেতা ]

এদিন তিনি দাবি করেন, সকালে তিনি অনেককেই বিষয়টি জানান। সেখানকার আরপিএফ ও রেল পুলিশকর্মীদেরও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ না কি গুরুত্বই দেয়নি তখন। তারপর ধীরে ধীরে সেটি সাধারণ মানুষরে মধ্যেও জানাজানি হয়। কেউ একজন ওই মহিলার প্রতি অত্যাচারের কথা জানান সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখে একটি সংস্থা এগিয়ে আসে। সংস্থার সদস্যরা মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। এদিন তাঁরাই বর্ধমান জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে আগে জানতে পেরেও কেন মেমারি স্টেশনের আরপিএফ বা রেল পুলিশ কর্মীরা কোনও ব্যবস্থা নেননি সেই প্রশ্ন উঠেছে। রেল পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধর্ষণের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: করোনা নিয়েও দোকানে যাতায়াত, বস্ত্রবিপণির কর্ণধারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement